
প্রিন্ট: ৩১ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৪ পিএম
গ্রহীতাকে না জানিয়ে জাকাত দেওয়া যাবে?

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম

ধনী লোকদের ধনসম্পদের ৪০ ভাগের এক অংশ অসহায় দরিদ্রদের মধ্যে জাকাত হিসাবে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ইসলামে।
জাকাত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা না-থাকলেও রমজান মাসই জাকাত আদায়ের সর্বোত্তম সময়। রমজান মাসে যেকোনো ধরনের দান-সাদকা করলে অন্য সময়ের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি নেকি হাসিল হয়।
ইসলামে নামাজের পরই জাকাতের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে নামাজের পাশাপাশি জাকাত আদায়ের কথা বলা হয়েছে।
জাকাত ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, যা ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পদের ভারসাম্য রক্ষা করে সমাজে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে। এটি নিছক একটি দান নয়, বরং একজন মুসলিমের জন্য ফরজ ইবাদত।
শরিয়তের পরিভাষায় জাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণকে নিসাব বলে। সারা বছর জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের পর বছর শেষে যার হাতে নিসাব পরিমাণ সম্পদ উদ্বৃত্ত থাকে তাকে বলে সাহিবে নিসাব বা নিসাবের মালিক।
ইসলামি বিধান অনুযায়ী যাদের জাকাত দেয়া যায়, শরিয়তের পরিভাষায় তাদের বলা হয় মাসরিফ। জাকাতের মাসরিফ অর্থাৎ কোন কোন খাতে জাকাতের অর্থ ব্যয় করতে হবে আল্লাহতায়ালা স্বয়ং তা নির্ধারণ করে দিয়েছে। নির্ধারিত এ খাত হলো আটটি। এ আটটি খাতেই জাকাত দেওয়া সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য আবশ্যক।
জাকাত আদায় হওয়ার জন্য জাকাতদাতার নিয়ত জরুরি, জাকাত গ্রহণকারীর জানা জরুরি নয় যে তাকে জাকাত দেওয়া হচ্ছে। তাই হাদিয়া, ঈদ উপহার ইত্যাদি যে কোনো কিছু বলে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে জাকাতের সম্পদ পৌঁছে দিলে জাকাত আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার: ২/২৬৮)