
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৯ এএম
ব্যাংকের টাকা ও আমানতের মালের জাকাত কে আদায় করবে

মুফতি বিলাল হুসাইন খান
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৫১ এএম

জাকাত ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রোকন। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদত হল সালাত ও জাকাত।
কুরআন মজীদে বহু স্থানে সালাত-জাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
জাকাত ইসলামের একটি অপরিহার্য ইবাদত। এজন্য শুধু মুসলিমগণই জাকাত আদায়ের জন্য সম্বোধিত হন। সুস্থমস্তিষ্ক, আযাদ, বালেগ মুসলমান নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে জাকাত আদায় করা তার ওপর ফরজ হয়ে যায়। -আদ্দুররুল মুখতার ২/২৫৯ বাদায়েউস সানায়ে ২/৭৯,৮২
যদি কারও আমানতের মাল আপনার কাছে থাকে, তাহলে সে মালের জাকাত দেওয়ার দায়িত্ব আপনার উপর বর্তাবে না; বরং আমানত যিনি রেখেছেন তার উপর ওই মালের জাকাত দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে।
যদি সে আপনাকে ওই আমানতের মালের জাকাত দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে থাকে, তাহলে আপনিও সে মালের জাকাত আদায় করতে পারবেন। অন্যথায় পারবেন না।
একই বিধান ব্যাংক ও কোম্পানির মালিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। কেননা, ব্যাংকাররা ব্যাংকে টাকা বিনিয়োগকারীদের মালের আমানতদার হয়ে থাকে এবং কোম্পানির মালিকরা কোম্পানি শরীকদের মালের আমানতদার হয়ে থাকে।
সুতরাং বিনিয়োগকারী ও শরীকদের অনুমতি ব্যতিরেকে তাদের মালের জাকাত ব্যাংকার ও কোম্পানির মালিকরা দিলে আদায় হবে না। এমনকি তাদের অনুমতি ছাড়া তাদের মাল থেকে কোন সাধারণ দান-সদকা পর্যন্ত করা যাবে না।
বাহরুর রায়েক: ২/২০২, দুররে মুখতার: ৩/১৭৪