আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম এতেকাফ

মুফতি বিলাল হুসাইন খান
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৪১ এএম

এতেকাফ আল্লাহর এক অনন্য অফুরন্ত দান। এর মাধ্যমে মুমিন বান্দা মহান আল্লাহর অধিক নৈকট্য লাভ করতে পারে এবং তার মেহেরবান মালিকের কাছে নিজের পূর্ণ গোলামী, বিনয়- নম্রতা ও অসহায়ত্বকে পেশ করতে পারে। তার রহমতের দুয়ারে রহমতের ভিখারি হয়ে বিরামহীন কড়া নাড়তে পারে। তাই এতেকাফ ছিল প্রিয় নবীর (সা.) প্রিয় আমল।
তিনি নিজে রমজানের শেষ দশকে এতেকাফ করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতেন। মদীনায় হিজরতের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতি বছরই নবিজি (সা.) এতেকাফ করেছেন। অবশ্য জিহাদের সফরে থাকায় এক বছর এতেকাফ করতে পারেননি তাই পরবর্তী বছর ২০ দিন এতেকাফ করেছেন। আরেক বছর বিশেষ কারণে রমজানে এতেকাফ না করায় শাওয়ালে কাজা করেছেন। যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন সে বছর তিনি ২০ দিন এতেকাফ করেছেন।
এতেকাফের ফজিলত
১. রমজানের শেষ দশকের এতেকাফ শবে কদরের ফজিলত পাওয়ার অপূর্ব মাধ্যম বটে।
২. এতেকাফকারীর দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টা ইবাদত হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে। যদিও সে প্রয়োজনীয় আমলগুলো করার পর অবসর সময়ে কোনো আমল না করে থাকুক।
৩. এতেকাফকারী অনেক সংখ্যক গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।
৪. সুন্নত এতেকাফের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার এমন নৈকট্য অর্জিত হয়, যা অন্য কোনো ইবাদতের দ্বারা হয় না। ১২ ঘণ্টা রোজা রাখার দ্বারা যেরূপ ফেরেস্তাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে, ঠিক তদ্রুপ ২৪ ঘণ্টা এতেকাফের দ্বারাও ফেরেস্তাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করা হয়।
৫. এতেকাফ গুনাহমাফীর সুন্দরতম মাধ্যম।
৬. আল্লাহকে সন্তুষ্ট করানো তথা তার সঙ্গে গভীর মুহাব্বত তৈরি করার উত্তম উপায়।
৭. এতেকাফ অবস্থায় বান্দা আল্লাহর দরবারে হাযির থাকে, এজন্য খোদার কাছেও তার অনেক মূল্য রয়েছে। আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়া ও রহমতের দৃষ্টি পড়া, মায়া-মমতা লাভ করার বেশি সম্ভাবনা থাকে। আল্লাহপাক নিজ অনুগ্রহে সমস্ত এতেকাফকারীর এসব ফজিলত ও ফায়দা লাভ করার তাওফীক দিন। আমীন!