
প্রশ্ন: আমি আমাদের দেশের এক অসহায় ব্যক্তিকে মুসলিম মনে করে জাকাতের কিছু অর্থ দিয়েছি। পরে জানতে পারলাম যে, সে অমুসলিম। এখন জানার বিষয় হল, আমার জাকাত কি আদায় হয়েছে, না পুনরায় তা আদায় করতে হবে?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জাকাত আদায় হয়ে গেছে। কেননা কাউকে জাকাতের উপযুক্ত মুসলমান মনে করে জাকাত দেওয়ার পর পরর্বতীতে লোকটি অমুসলিম বলে প্রকাশ পেলেও জাকাত আদায় হয়ে যায়।
ওই জাকাত পুনরায় আদায় করতে হয় না। কিন্তু জেনেশুনে কোনো অমুসলিমকে জাকাত দেওয়া জায়েজ নয়। জেনে শুনে দিলে জাকাত আদায় হবে না।
জাকাত কোনো অমুসলিমকে দেওয়া জায়েজ নয়। তবে নফল সদকা অমুসলিমকেও দেওয়া যায়। সুতরাং অমুসলিমদের আপনারা নফল সদকার অর্থ প্রদান করতে পারেন।
বিখ্যাত তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রহ. বলেন, তাদেরকে (অমুসলিমদেরকে) জাকাত প্রদান করো না, নফল সদকা প্রদান কর।
কুরআন মজিদে জাকাত ব্যয়ের নির্দিষ্ট আটটি খাত উল্লেখ রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মূলত সদকাত হলো ফকির, মিসকিন, জাকাত কর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলামের সুরক্ষার জন্য) ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথসন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৬০)
ওই আটটি খাতের মধ্যে সময়ের প্রয়োজন ও ফলাফল বিবেচনা করে নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী ও অন্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এতে জাকাত-ফিতরা আদায় হওয়ার পাশাপাশি নিয়াত অনুযায়ী ক্ষেত্রবিশেষ সওয়াবের পরিমাণও বাড়বে।
সূত্র: হিদায়া ১/২০৭; ইনায়াহ ২/২১৪; রদ্দুল মুহতার ২/৩৫২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৪২