শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম

মাহে রমজানে একাগ্রচিত্তে সিয়াম-সাধনা ও অধ্যবসায়ের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস শাবান। সুতরাং রমজানের পূর্বপ্রস্তুতির জন্য শাবান মাস গুরুত্ববহ। রাসূল (সা.) শাবান মাসের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে শাবানকে নিজের মাস বলে আখ্যায়িত করেন।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, শাবান আমার মাস এবং রমজান আল্লাহর মাস। শাবান পবিত্রকারী এবং রমজান গুনাহ মাফকারী। (কানজুল উম্মার-৩৫২১৬)।
অপর হাদিসে রাসূল (সা.) বিশেষভাবে শাবান মাস গণনা করার নির্দেশ দেন, যেন রমজানের রোজা রাখতে সুবিধা হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের উদ্দেশ্যে শাবানের চাঁদের হিসাব রাখবে। (সুনানে তিরমিজি-৬৮)।
রমজানের রোজা বাদে শাবানের রোজা শ্রেষ্ঠ রোজা। এ ছাড়া আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের এ মাসে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি রাত উপহার দিয়েছেন।
রমজানের পর প্রিয়নবি শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.)কে শাবান মাস ছাড়া আর কোনো মাসে এত অধিক রোজা রাখতে দেখিনি। তিনি শাবান মাসের অধিকাংশ দিনই রোজা রাখতেন। বরং প্রায় সারা মাসই তার রোজা অবস্থায় কাটত। (সুনানে নাসাই : হাদিস-২১৭৮, মুসনাদে আহমাদ : হাদিস-২৫৩৫৭)।
শাবান মাসে অন্যান্য নেক আমলের পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী রোযা রাখার চেষ্টা করা কর্তব্য।তবে এ রোজা রাখবে শাবান মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত। হাদিসে রমজানের এক-দুই দিন আগে রোযা রাখতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস ১৯১৪)