নামাজের মধ্যে মাতা-পিতার ডাকে সাড়া দেওয়া যাবে?
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
![নামাজের মধ্যে মাতা-পিতার ডাকে সাড়া দেওয়া যাবে?](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/09/Untitled-1-67a882f66920e.jpg)
বাবা-মা যদি কোনো প্রয়োজনে ডাক দেন, তাহলে নফল নামাজ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। কিন্তু ফরজ নামাজ ছাড়া যাবে না।
নফল নামাজের চেয়ে বাবা-মায়ের প্রয়োজন অপরিহার্য। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ বাবা-মায়ের হকের বিষয়টি বারবার বলেছেন।
আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, পিতা-মাতাকে অনুগ্রহ করো। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো। নফল নামাজ আপনি যেকোনো সময় আদায় করতে পারবেন। কিন্তু মায়ের একটা প্রয়োজন দেখা দিয়েছে, সেটা আপনাকে তখনই পূরণ করতে হবে।
এ অবস্থায় আপনি নফল নামাজ ভেঙে মায়ের প্রয়োজনটুকু পূরণ করে পরে নফল নামাজ আদায় করতে পারেন।
তবে মায়ের তেমন কোনো প্রয়োজন দেখা দেয়নি, সন্তানের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য যদি ডাক দেন, সে ক্ষেত্রে নফল নামাজ ভঙ্গ করে সাড়া দিতে হবে না। আপনি নফল নামাজ শেষ করে মায়ের প্রয়োজন মেটাতে পারেন।
বাবা-মা ছাড়া অন্যদের প্রয়োজনে নফল নামাজ ছেড়ে যাওয়ারও প্রয়োজন নাই। তবে সেখানেও বিষয়টি নির্ভর করবে অবস্থা এবং পারিপার্শিকতার ওপর।
নামাজ পড়া অবস্থায় মাতা-পিতার ডাকে সাড়া দেওয়ার বিধান
১. যদি ফরয নামাজ পড়া অবস্থায় মুরুব্বিরা ডাকেন, তাহলে তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। বরং নামাজ পূর্ণ করবে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নামাজ ভঙ্গ করা জায়েজ হবে না।
২. আর যদি অধিক প্রয়োজনে বা কঠিন বিপদে পড়ে ডাকেন, তাহলে তাদের ডাকে সাড়া দিতে হবে। নামাজ ভঙ্গ করে তাদের কাছে এগিয়ে যেতে হবে।
৩. যদি নফল নামাজে থাকা অবস্থায় তারা ডাকেন, অথচ তাদের জানা ছিল না যে, সম্বোধিত ব্যক্তি নামাজে আছে, তাহলে তাদের ডাকে সাড়া দিবে। চাই প্রয়োজনে আহবান করুক বা অপ্রয়োজনে।