Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

বিস্ময়কর শিশু হাফেজ হাবিবুরের ইচ্ছাপূরণ করলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ এএম

বিস্ময়কর শিশু হাফেজ হাবিবুরের ইচ্ছাপূরণ করলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

জুলাই বিপ্লবের সময় হিফজ শুরু করেছিল নোয়াখালীর প্রখর মেধাবী শিশু হাবিবুর রহমান। সে হিফজ শুরু করেছিল ১৯ জুলাই থেকে, শেষ হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর। 

কুরআন হিফজ করতে তার সময় লেগেছে মাত্র ৪৯ দিন। ৪৯ দিনে কুরআনে হাফেজ হওয়া হাবিবুরের ইচ্ছে ছিল জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করা। এ কথা জানতে পেরে শায়খ আহমাদুল্লাহ দেশে ফিরেই তার ইচ্ছে পূর্ণ করেছেন।

শনিবার নোয়াখালীর বিস্ময় শিশু হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

তাতে তিনি বলেছেন, মাত্র ৪৯ দিনে হাফেজ হওয়া হাবিবের সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হলো আজ। মিডিয়া মারফত জানতে পারি, বিরল কৃতিত্বের অধিকারী এই মেধাবী শিশুটি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায়। এই খবর দেখামাত্র হাবিবের প্রতি বিশেষ স্নেহ ও ভালোবাসা অনুভব করি। সিদ্ধান্ত নিই, বিরল মেধার অধিকারী হাফেজ শিশুটির সঙ্গে কিছু সময় কাটাব। দেশের বাইরে থাকায় তা এতদিন সম্ভব হয়নি। আজ সপরিবারে তাকে ও তার উস্তাদকে অফিসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছি, স্বপ্নের কথা শুনেছি, শুনেছি তার সুন্দর কণ্ঠের তিলাওয়াত। 

তিনি আরও লিখেছেন, কুরআন এক মহাসমুদ্র। মাত্র ৪৯ দিনে এই সমুদ্রকে বক্ষে ধারণ করা কুরআনের একটি মু'জিযা। এটি বিরল সৌভাগ্য ও আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া সম্ভব নয়। দোয়া করি, মহান আল্লাহ হাবিবকে কুরআনের যোগ্য খাদেম হিসেবে কবুল করুন। তার উস্তাদকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

 বিস্ময়কর ও প্রখর মেধাবী এই হাবিবুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বালিয়াকান্দী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাইনুদ্দিন রাসেলের ছেলে।

 জানা গেছে, শিশু হাবিব ২০২২ সালে এক বছর নুরানী পদ্ধতিতে পড়ার পর ২০২৩ সালের মাঝামাঝি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে নাজেরা (কুরআন দেখে পড়া) বিভাগে পড়ে। এরপর ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ১৯ তারিখে কুরআন শরিফ হেফজ (মুখস্থ) শুরু করে। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কুরআন মুখস্থ করে সে। পাঁচ পৃষ্ঠা থেকে সবক দেয়া শুরু। এরপর কখনো ১০ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১৫ পৃষ্ঠা। এভাবে সবক দিয়ে হেফজ সম্পন্ন করে সে। এমন বিরল কৃতিত্ব অর্জনে তার শিক্ষক, সহপাঠী ও পরিবারের লোকেরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম