হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে সালামের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব?
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
প্রশ্ন: হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার বা এ জাতীয় মাধ্যমে সালামের জবাব দেওয়া কি আবশ্যক?
উত্তর: ইসলামি শরিয়ত মতে সালাম দেওয়া সুন্নত কিন্তু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক।
সালাম হলো দোয়া। সালাম দ্বারা বলা হয়-‘আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক’। সুতরাং সালামের উত্তরও সুন্দরভাবে সালাম প্রদানকারীকে শুনিয়ে তার জন্য এভাবে দোয়া করা যে, আপনার ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক।
হাদিসের নির্দেশনা হলো-সম্ভব হলে সালামের উত্তর আরও বেশি বাড়িয়ে দোয়া করা।
ইসলামি স্কলাররা মনে করেন, লেখার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশের বিষয়টি বলার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হবে। বর্তমানে বার্তা আদান-প্রদানের জন্য মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ই-মেইলসহ আরও যেসব অ্যাপ রয়েছে এগুলোকে মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে গণ্য করা হয়।
তাই কেউ যদি মেসেঞ্জারে সালাম লিখে পাঠায় এক্ষেত্রে লিখিত সালামের জবাব লিখেও দেওয়া যায় আবার মুখে উচ্চারণ করেও দেওয়া যায়।
সুতরাং ই-মেইল বা মেসেঞ্জার যা-ই হোক বা অন্য কোনো মাধ্যম হোক, কেউ সালাম দিলে তার জবাব চাইলে লিখেও পাঠানো যাবে অথবা নিজে নিজে মুখে জবাব দিলেও হবে।
এক্ষেত্রে মৌখিক জবাব তাকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয় এবং সালামের জবাবের জন্য তাকে পালটা উত্তর লেখা কিংবা ফোন করে জানানো কোনোটিই জরুরি নয়। বরং একাকী মুখে জবাব দিয়ে দিলেই হবে। (ফয়যুল কাদির : ৪/৩১; রদ্দুল মুহতার : ৬/৪১৫)।