তাহাজ্জুদের নামাজ নিয়ে যা না জানলেই নয়
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৭ এএম
প্রশ্ন: তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নত নাকি নফল? সর্বনিম্ন কত রাকাত পড়তে হয়? দুরাকাত করে নাকি চার রাকাত করে পড়তে হয়?
উত্তর: তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা নফল। বিশুদ্ধ হাদিসের বর্ণনায় জানা যায় রাসূল (সা.) কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাত পড়তেন, কখনো ছয় রাকাত পড়তেন। কখনো আট রাকাত পড়তেন। কখনো দশ রাকাত পড়তেন।
আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আয়েশা (রা.) কে জিজ্ঞেস করেন যে, রমজানে নবিজির নামাজ কেমন হতো? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজানে এবং রমজানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন। (সহিহ বুখারি ১/১৫৪)।
আব্দুল্লাহ ইবনে আবি কাইস বলেন, আমি হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবিজি বিতের কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতের সাত রাকাতের কম এবং তেরো রাকাতের অধিক পড়তেন না। (সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৩)।
হাদিস অনুযায়ী, ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেলে তাহাজ্জুদ পড়া যাবে না। ইবনু ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, সুবহে সাদিকের সঙ্গে সঙ্গে রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ) ও বিতরের ওয়াক্ত চলে যায়। সুতরাং তোমরা সুবহে সাদিকের পূর্বেই বিতর আদায় করে নেবে। (তিরমিজী, হাদিস: ৪৬৯)
হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী তাহাজ্জুদের নামাজ ১০ রাকাত পর্যন্ত পড়া রাসূল (সা.) থেকে প্রমাণিত হলেও এর চেয়ে বেশি পড়তে বাধা নেই। কেননা তাহাজ্জুদ নফল ইবাদত-তাই যত বেশি পড়া যায় ততই সওয়াব। আবার চার রাকাতের কম পড়লে তাহাজ্জুদ আদায় হবে না, বিষয়টি এমনও নয়। তাই দুই রাকাত পড়লেও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তাহাজ্জুদের নামাজ দুরাকাত করে যেমন পড়া যায় তেমনি চার রাকাত করেও পড়া যায়।
সূত্র : তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/১৭২, আল বাহরুর রায়েক-২/৫৩, ফাতওয়ায়ে শামী-২/৪৫৫