Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

বৃষ্টির পানি বরকতময়

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম

বৃষ্টির পানি বরকতময়

জগতে কত কিছু থেকে আমরা উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করি! আর আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করে দিয়েছেন- তিনি যে বৃষ্টি দিয়ে থাকেন, এর পানি বরকতময়। মানে এতে রয়েছে প্রভূত কল্যাণ ও উপকার। 

এ বরকত কল্যাণ ও উপকারের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ পবিত্র কুরআন থেকে পড়ুন- আমি আকাশ থেকে বর্ষণ করি বরকতপূর্ণ পানি, তারপর তার মাধ্যমে উদগত করি উদ্যানরাজি ও এমন শস্য, যা কাটা হয়ে থাকে। এবং সৃষ্টি করি এমন উঁচু উঁচু খেজুর গাছ, যাতে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ দানা। (এসব) বান্দাদের জীবিকাস্বরূপ এবং (এমনিভাবে) আমি সেই পানি দিয়ে এক মৃত নগরকে সঞ্জীবিত করেছি। -সুরা ক্বাফ (৫০) : ৪৫

এ আয়াতে বৃষ্টির পানিকে যেমন বরকত ও কল্যাণের ধারক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তেমনি এ পানি আমাদের জনজীবনকে কতটা উপকৃত ও আন্দোলিত করতে পারে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃষ্টি কীভাবে হয়- আমাদের কাছে এ প্রশ্নের উত্তর তো অনেক সহজ। নদীনালা আর সাগরের পানি রোদের তাপে বাষ্প হয়ে উড়ে যায় আকাশে। সেখানে মেঘ হয়ে জমে থাকে। একসময় তা বৃষ্টির ফোঁটায় ঝরে পড়ে মাটিতে। 

সমীকরণটা তো সহজ, কিন্তু এ সহজ কাজটি করার শক্তি কি কারো আছে- এক আল্লাহ ছাড়া? তিনিই পারেন সাগরের পানিকে উড়িয়ে নিয়ে মেঘ আকারে জমা করতে। সে মেঘ তিনি হাঁকিয়েও নিয়ে যান। সেখান থেকে বর্ষণ করেন বৃষ্টি। এটা একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব। তিনিই জানেন- বৃষ্টি কখন হবে। তার ইচ্ছা ক্ষমতা ও জ্ঞানের বাইরে নেমে আসতে পারে না এক ফোঁটা বৃষ্টির পানি। 

এজন্যেই তো আমরা দেখি, কখনো ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ, শোনা যায় মেঘের গর্জন, পৃথিবীবাসী চমকে ওঠে বিদ্যুতের ঝলকানিতে, কিন্তু এতকিছুর পরও বৃষ্টি হয় না। ঘন কালো মেঘ কোথায় যেন হারিয়ে যায়! 

আবার কখনো রোদঝলমলে আকাশও হঠাৎ করে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়। নেমে আসে ঝুপঝাপ বৃষ্টি। কখনো আবার রোদেলা আকাশ থেকেও ঝড়ে বৃষ্টি। এসবই মহামহিম আল্লাহর ক্ষমতা। তার ইচ্ছাতেই হয় সবকিছু।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম