Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

মানত করে ভুলে গেলে করণীয় কী

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

মানত করে ভুলে গেলে করণীয় কী

প্রশ্ন: কোনো ব্যক্তি যদি ছোট থেকে ১৯-২০ বছর পর্যন্ত অনেক মানত করে এবং পরবর্তীতে সে যদি ভুলে যায় সে কোন কাজের জন্য কি মানত করেছে তাহলে সে কি সব মানতের জন্য শুধু তিনটা রোজা রাখবে নাকি আরো অনেক রোজা রাখবে যেহেতু সে জানে না সে কয়টা মান্নত পূর্ণ করেনি।

উত্তর: মানত শরিয়তে পছন্দনীয় নয়। শরিয়ত উদ্বুদ্ধ করে নফল সদকার প্রতি। মানতের প্রতি নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না। (বাইহাকি- ৭৩৭৪)।

মানতের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা প্রসঙ্গে সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) বর্ণনা করেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন আমাদের মানত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মানত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মানতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং- ৪৩২৫)

এতদ্বসত্ত্বেও যদি কেউ মানত করে তাহলে তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মানতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- তারা যেন মানত পূর্ণ করে। (সুরা হজ্জ-২৯)

আল্লাহর নামে আপনি যা মানত করেছিলেন তা আপনার জন্য পুরণ করা আবশ্যক ছিল। কিন্তু যেহেতু আপনি বিষয়টি ভুলে গেছেন তাই তাই যথাসম্ভব স্মরণ করে তা আদায়ের চেষ্টা করুন। কিন্তু যদি কোনো ক্রমেই স্মরণে না আসে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে এর কাফফারা দিতে হবে না। 

কেননা হাদিশ শরীফে আছে, মুহাম্মদ ইবন মুসাফ্ফা হিমসী (র).... ইবন আব্বাস (রা.) সূত্রে নবী (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহ আমার উম্মতকে ভুল–বিস্মৃতি ও জোরপূর্বক কৃত কাজের দায়–দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। (সুনান ইবনে মাজাহ্ : হাদিস নং- ২০৪৫)

তবে নিজের এই ভুলের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা ও ইসতেগফার করতে থাকুন। আর সম্ভব হলো একটি মান্নতের কাফফারা আদায় করে দিন।

মানতের কাফফারা

পবিত্র কুরআনে মানতের কাফফারার চারটি স্তর উল্লেখ করা হয়েছে।

১. দশজন মিসকিনকে দুবেলা পেট ভরে খাইয়ে দেয়া। 

২. অথবা দশজন মিসকিনকে একজোড়া করে কাপড় প্রদান করা।

৩. অথবা গোলাম আজাদ করা।

৪. উপরোক্ত তিনটির কোনোটি করার সাধ্য না থাকলে তিন দিন রোজা‌ রাখা।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, তোমাদের বৃথা শপথের জন্যে আল্লাহ তোমাদের দায়ী করবেন না। কিন্তু যেসব শপথ তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কর সেগুলোর জন্যে তিনি তোমাদের দায়ী করবেন। এরপর এর কাফফারা দশজন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের আহার্য দান, যা তোমরা তোমাদের পরিজনদের খেতে দাও, বা তাদেরকে বস্ত্রদান, কিংবা একজন দাস মুক্তি। এবং যার সামর্থ্য নেই তার জন্যে তিনদিন সিয়াম পালন। তোমরা শপথ করলে এটাই তোমাদের শপথের কাফ্ফারা, তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা কর। এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে তাঁর বিধানসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম