প্রশ্ন: কোনো পুরুষ কি শর্তভিত্তিক বিয়ে করতে পারে? শর্তগুলো এমন যে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক থাকবে কিন্তু সমাজের সামনে আনা যাবে না। সম্পদে স্ত্রী কোনো ভাগ পাবে না, আর কোনো সন্তানও ধারণ করা যাবে না। পুরুষ শুধু ভরণপোষণ দিবে। এমন শর্তারোপ করে কি বিয়ে জায়েজ হবে যদি নারী রাজি থাকে?
উত্তর: শর্তভিত্তিক বিবাহ কিছু কিছু শর্তের ক্ষেত্রে বৈধ আছে।
যেসব শর্তের মাধ্যমে হালালকে হারাম করা হয়, হারামকে হালাল করা হয় সেসব শর্ত বাতিল বলে সাব্যস্ত হয়।
যেমন স্ত্রীকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার শর্তে বিবাহ করা। এটি কুরআনের আয়াতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় এ শর্ত বাতিল।
বিবাহের সময় যেসব শর্ত দেওয়া যাবে:
ক. স্ত্রী দু’বছরের জন্য বাবার বাড়ি থাকবে, উঠিয়ে নেওয়া হবে না।
খ. স্বাস্থ্যগত অনুপযুক্ততার কারণে তিন বৎসর সন্তান ধারণ থেকে বিরত থাকবে।
গ. স্ত্রীকে সফর নিয়ে যাবে না। ইত্যাদি শর্ত শরীয়ত উপেক্ষা করবে না।
কুরআনে বর্ণিত কারূনের ঘটনা থেকে যেসব শিক্ষা
কাসির ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আওফ হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও দাদার সূত্রে থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: মুসলমানদের একে অপরের সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করা জায়েজ। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়েজ নেই। মুসলমানরা তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)। (তিরমিজি, হাদিস নং ১৩৫২)
উকবা ইবন আমির (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, শর্ত (চুক্তি)-সমূহের মধ্যে সর্বাধিক প্রতিপালনীয় গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে, তোমরা যা দ্বারা (মহিলার) লজ্জাস্থান হালাল করবে, (অর্থাৎ মোহর আদায় করা)। সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩২৮১