কুরআনে বর্ণিত কারূনের ঘটনা থেকে যেসব শিক্ষা
মুহাম্মাদ আশিক বিল্লাহ তানভীর
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
কে না শুনেছে কারূনের নাম; যে ছিল অঢেল সম্পদের অধিকারী! কিন্তু তার কাড়িকাড়ি সম্পদ তাকে রক্ষা করতে পারেনি; বরং ধ্বংস করে ছেড়েছে- সেই বিবরণ বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে কুরআন মাজীদে। সুরা কাসাসের ৭৬ থেকে ৮৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত তার ব্যাপারে একটু বর্ণনামূলক আলোচনা এসেছে। এছাড়া কুরআনের আরও কিছু স্থানে তার উল্লেখ রয়েছে।
হজরত মুসা আলাইহিস সালামের গোত্রের প্রভাবশালী ধনবান ব্যক্তি ছিল এই কারূন। কিন্তু ধন থাকলে কী হবে! মনে যদি আল্লাহর ভয় না থাকে, তাহলে সম্পদ থাকলে যা হয়, তার অবস্থাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। সম্পদের কারণে তার লোকবলেরও কমতি ছিল না। জনবল, বাহুবল, অর্থবল- আর ঠেকায় কে!
তার অগাধ সম্পদের অবস্থা এমন ছিল যে, তার ধনভাণ্ডারের চাবি বহন করতেই প্রয়োজন হত একদল শক্তিশালী মানুষের। অঢেল সম্পদ পেয়ে সে আল্লাহ্কে ভুলে বসল। আল্লাহর বিধান অমান্য করল। আল্লাহর নাফরমানী শুরু করল। আল্লাহর বান্দাদের উপর অত্যাচার-অবিচার আরম্ভ করল।
কুরআনের ভাষায়- কারূন ছিল মুসার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। কিন্তু সে তাদেরই প্রতি জুলুম করল। আমি তাকে এমন ধনভাণ্ডার দিয়েছিলাম, যার চাবিগুলি বহন করা একদল শক্তিমান লোকের পক্ষেও কষ্টকর ছিল। -সুরা কাসাস (২৮): ৭৬
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম তাকে বিভিন্নভাবে বোঝালেন। দলীল-প্রমাণ, উপমা-উপদেশ- কতভাবে বোঝালেন! কিন্তু সে তাতে কান দিল না।
গোত্রের নেককার লোকেরাও তাকে সতর্ক করল। তারা বলল- দেখ কারূন! তুমি আমোদ-প্রমোদে এমন মাতোয়ারা হয়ে যেও না। প্রাচুর্যের প্রাবল্যে জ্ঞান হারিয়ে বসো না। ক্ষমতার দর্পে জমিনে ত্রাস ছড়িয়ে বেড়িয়ো না। অহংকারের পরিণাম শুভ হয় না। আল্লাহ তাআলা এগুলো পছন্দ করেন না।... কিন্তু সে এগুলোর তোয়াক্কা করল না।
তাকে আরও উপদেশ দেওয়া হল- আল্লাহ তোমাকে যা-কিছু দিয়েছেন তার মাধ্যমে আখেরাতের নিবাস লাভের চেষ্টা কর এবং দুনিয়া হতেও নিজ হিস্যা অগ্রাহ্য করো না। আল্লাহ যেমন তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, তেমনি তুমিও (অন্যদের প্রতি) অনুগ্রহ কর। আর পৃথিবীতে ফাসাদ বিস্তারের চেষ্টা করো না। জেনে রেখ, আল্লাহ ফাসাদ বিস্তারকারীদের পছন্দ করেন না। -সুরা কাসাস (২৮) : ৭৭
কুরআনের যে আয়াত শুনে মুগ্ধ হয়েছিল উতবা
এত সুন্দরভাবে বোঝানোর পরও সে কর্ণপাত করত না। এমন উপদেশে সে আরও উত্তেজিত হয়ে উঠত। বকাবাদ্য শুরু করত। জগতের অন্যান্য দাম্ভিকরা যেমনটা হয়ে থাকে। তার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ সে নিমিষেই অস্বীকার করে বসত।
বলত- (এসব তো আমি আমার জ্ঞানবলে লাভ করেছি।)
আমার উপর আবার কার অনুগ্রহ! আজ আমার যতকিছু সব তো আমি নিজের মেধা, প্রতিভা ও শ্রম দিয়ে অর্জন করেছি। নিজস্ব যোগ্যতাবলে আজ আমার এ বিশাল অবস্থা।
বাস্তবিকপক্ষে এ ধরণের লোকেরা সচরাচর অহংকারের আতিশয্যে খেই হারিয়ে ফেলে। উন্মাদ ও আত্মহারা হয়ে নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে বেখবর হয়ে পড়ে। ইতিহাস ও অতীত ভুলে যায়। চিন্তা করে না, পূর্ববর্তীদের কথা- দুনিয়াতে কত ক্ষমতাবানই তো ছিল! আজ তারা কোথায়! কত সম্পদশালী ও প্রতাপশালী ছিল; তাদের অস্তিত্ব কোথায়! কতজনই তো কত জনবল নিয়ে দর্প দেখাত; তারা কোথায় হারিয়ে গেল!
আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত চমৎকারভাবে বলেন- সে কি এতটুকুও জানত না যে, আল্লাহ তার আগে এমন বহু মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছিলেন, যারা শক্তিতে তার অপেক্ষা প্রবল ছিল এবং জনসংখ্যায়ও বেশি ছিল? অপরাধীদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেসও করা হয় না। -সুরা কাসাস (২৮) : ৭৮
কারূন ছিল সম্পদশালী এবং দুনিয়ালোভী। পাপিষ্ঠ ও অত্যাচারী। তবে সমাজে কিছু মানুষ ছিল, যারা কারূনের জাঁকজমকপূর্ণ বিলাসী জীবন দেখে লোভাতুর হয়ে পড়ত। তারাও তার মতো হতে চাইত। একবার কারূন পাইক-পেয়াদা ও জৌলুস প্রদর্শন করে বের হল। তখন ওইসকল সাধারণ দুনিয়াদাররা আক্ষেপ করে বলতে লাগল, আমাদের যদি কারূনের মতো সম্পদ থাকত।
কুরআনের ভাষায়- অতঃপর (একদিন) সে তার সম্প্রদায়ের সামনে নিজ জাঁকজমকের সাথে বের হয়ে আসল। যারা পার্থিব জীবন কামনা করত তারা (তা দেখে) বলতে লাগল, আহা! কারূনকে যা দেওয়া হয়েছে, অনুরূপ যদি আমাদেরও থাকত! বস্তুত সে মহা ভাগ্যবান। -সুরা কাসাস (২৮) : ৭৯
কিন্তু কারূনের এই জৌলুস বিলকুল রেখাপাত করত না আখেরাতমুখী মানুষগুলোর অন্তরে। তাদের হৃদয়ের গভীরে দীপ্ত ঈমানের নূরের সামনে তা তুচ্ছ হয়ে যেত। আসমানী ইলমের রোশনীতে তারা পথ দেখতে পেতেন। কল্যাণ-অকল্যাণ ও লাভ-ক্ষতি বুঝতে পারতেন। আলো-অন্ধকারের পার্থক্য ধরতে পারতেন। ন্যায়-অন্যায় বেছে চলতে পারতেন।
কুরআনের ভাষায় তারা ছিলেন ইলমওয়ালা। তাদের দিলে জাগরূক থাকত এ উপলব্ধি- পার্থিব চাকচিক্যে সফলতা নয়, প্রকৃত সফলতা পরকালের সফলতা। ফলে কারূনের এ ঔদ্ধত্য প্রদর্শনে তার প্রতি আরও করুণা জাগত তাদের। তারা কারূনকে যতটুকু সম্ভব সতর্ক করতেন।
আর তার প্রতি ঝুঁকে পড়া ওই দুনিয়াকামী লোকদেরও বোঝাতেন; বলতেন- [ধিক তোমাদেরকে! (তোমরা এরূপ কথা বলছ, অথচ) যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত সওয়াব কতই না শ্রেয়! আর তা লাভ করে কেবল ধৈর্যশীলগণই। -সুরা কসাস (২৮) : ৮০]
তোমাদের জন্য আফসোস হয়, কারূনের দুনিয়ার এ সামান্য সম্পদ দেখে তোমরা লোভাতুর হয়ে পড়ছ। কামনা করছ, তার মতো হতে! হালাল-হারামের তোয়াক্কা না করে সম্পদশালী ও ক্ষমতাশালী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করছ!
মূল্যবান জীবনের লক্ষ্য তো এতটা সস্তা ও তুচ্ছ হতে পারে না। মুমিন তো ঈমানের পথে অবিচল থাকবে, আমলের পথে অগ্রসর হবে। আখেরাতকে সামনে রেখে পার্থিব জীবন পরিচালিত করবে।
এর বিনিময়ে আল্লাহ পাক তাকে যে সওয়াব ও প্রতিদান দেবেন তার সাথে এ ধরনের জাগতিক অর্থ-বিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও জৌলুসের কোনো তুলনাই চলে না। তবে এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য ও দৃঢ়তা। ধৈর্যের সাথে ঈমানের পথে অবিচল থাকাই হচ্ছে মুমিনের শান। আর এতেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা।
যাইহোক, এত সুন্দর সুন্দর উপদেশ ও নসীহত কারূনকে স্পর্শ করল না। মনে আল্লাহর ভয় জাগাল না। ফলে সে নিয়ন্ত্রিতও হল না। দিনদিন সে আরও উদ্ধত হয়ে উঠল। ব্যস চলে আসল আল্লাহর পাকড়াও। আল্লাহর পাকড়াও চলে এলে কি আর উপায় থাকে! তখন কি আর কোনো বাহাদুরী চলে! আল্লাহ কারূনকে ধ্বংস করে দিলেন। তাকে গেঁথে দিলেন মাটির গহ্বরে। তার সুরম্য প্রাসাদ, বিরাট অট্টালিকা বিলীন করে দিলেন ভূগর্ভে।
কুরআনের ভাষায়- পরিণামে আমি তাকে ও তার অট্টালিকা ভূগর্ভে ধসিয়ে দিলাম। অতঃপর সে এমন একটি দলও পেল না, যারা আল্লাহর বিপরীতে তার কোনো সাহায্য করতে পারে এবং নিজেও পারল না আত্মরক্ষা করতে। -সুরা কাসাস (২৮) : ৮১
ঈমানদার আহলে ইলম তো আগ থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। তবে সাধারণ দুনিয়াদার, যারা সেই ভোগ বিলাসে আকর্ষণ বোধ করত এবং তার মতো প্রভাব-প্রতিপত্তির প্রত্যাশা রাখত, তারা কারূনের পরিণতি দেখে সম্বিত ফিরে পেল। বস্তুত ভাগ্যবান তারা, যারা এসকল ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। অভাগা তারা, যারা এর পরও অন্ধ থেকে যায়।
তো এ লোকগুলো এখন হুঁশে এল। কুরআনের বর্ণনায় তাদের সেকথা উঠে এসেছে এভাবে- আর গতকালই যারা তার মতো হওয়ার আকাক্সক্ষা করছিল, তারা বলতে লাগল, দেখলে তো! আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করে দেন এবং (যার জন্য ইচ্ছা) সংকীর্ণ করে দেন। আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করলে তিনি আমাদের ভূগর্ভে ধসিয়ে দিতেন। দেখলে তো কাফেরগণ সফলতা লাভ করে না। -সুরা কাসাস (২৮) : ৮২
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই ঘটনার বিবরণ দেওয়ার পর কুরআনের অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন- ওই পরকালীন নিবাস তো আমি সেই সকল লোকের জন্যই নির্ধারণ করব, যারা পৃথিবীতে বড়ত্ব দেখাতে ও ফাসাদ সৃষ্টি করতে চায় না। শেষ পরিণাম তো মুত্তাকীদেরই অনুকূলে থাকবে। যে ব্যক্তি কোনো পুণ্য নিয়ে আসবে সে তদপেক্ষা উত্তম জিনিস পাবে আর কেউ কোনো মন্দকর্ম নিয়ে আসলে, যারা মন্দ কাজ করে তাদেরকে কেবল তাদের কৃতকর্ম অনুপাতেই শাস্তি দেওয়া হবে। -সুরা কাসাস (২৮) : ৮৩-৮৪
অর্থাৎ আখেরাতে চিরস্থায়ী শান্তির ঠিকানা আমি কাদের জন্যে নির্ধারণ করে রেখেছি জানো! দুনিয়ার এই সংক্ষিপ্ত জীবনে যারা দুটি বিষয় থেকে বিরত থাকবে :
এক. যারা দম্ভ-অহংকার করবে না। দর্প করবে না।
দুই. যারা জমিনে ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না।
মোটকথা, জান্নাত কেবলই মুত্তাকীদের আবাসস্থল। মুত্তাকী কখনো দাম্ভিক ও ত্রাসী হতে পারে না। সে হয় ভদ্র ও বিনয়ী। পরোপকারী ও স্বার্থত্যাগী। সত্য ও ন্যায়ের পথিক। সততা ও নিষ্ঠা অবলম্বনকারী। আল্লাহর হুকুমের সামনে মস্তকাবনত আখেরাতমুখী। দ্বীন ও ঈমানের উপর ধৈর্য ও দৃঢ়তার সাথে সদা অবিচল।
কুরআন মাজীদে বর্ণিত কারূনের ঘটনা থেকে আমদের অনেকগুলো বিষয় শেখার আছে-
এক. কে কোন বংশের- এটা বিবেচ্য নয়; দেখার বিষয় হল, কার কর্ম কেমন। বংশীয় আভিজাত্য মুখ্য হলে কারূনের এ দশা হত না।
দুই. অহংকার করো না। অহংকার পতনের মূল। দম্ভ-অহংকার আল্লাহ মোটেই পছন্দ করেন না।
তিন. জমিনে ত্রাস ও ফাসাদ বিস্তারকারীকে আল্লাহ ধ্বংস করে দেন। কখনো কখনো দুনিয়াতেই নগদ পাকড়াও করে বসেন।
চার. আল্লাহ যখন পাকড়াও করেন তখন রক্ষা করার কেউ থাকে না। যে সম্পদ ও ক্ষমতার দাপট তাকে অন্ধ, উদ্ধত ও উন্মত্ত করে রেখেছিল তা তার কোনো কাজে আসে না।
পাঁচ. ধন-সম্পদ চূড়ান্ত সফলতার মানদণ্ড নয়। সে-ই সফল, যে আল্লাহর দেওয়া নিআমত পেয়ে আল্লাহর শোকরগোযার বান্দা হতে পারল।
ছয়. ক্ষমতার বড়াই ও প্রতিভার গরিমা কখনোই উচিত নয়। বরং যিনি এ নিআমত দিয়েছেন তার প্রতি আরও সমর্পিত হওয়াই মূল কথা।
সাত. আল্লাহ যেমন তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তুমিও আল্লাহর বান্দাদের প্রতি সদয় হও; অত্যাচারী হয়ো না।
আট. সম্পদ পেয়ে অতীত ভুলে যাওয়া বোকামি। মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর ইতিহাসে বহু সম্পদশালী ছিল। আবার তারা গতও হয়েছে। বুদ্ধিমান সে, যে ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
নয়. দুনিয়াদারদের ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য এবং তাদের দাপট ও প্রতিপত্তিতে প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়। কারণ প্রকৃত সফলতা পরকালের সফলতা। পার্থিব জীবনের সাময়িক ঠাটবাট ধোঁকামাত্র।
দশ. ঈমান ও ইলমের আলোয় আলোকিত হওয়া চাই। তবেই সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার তাওফীক হয়।
এগার. আহলে ঈমান ও আহলে ইলম অন্যায়-অপরাধ ও পাপাচার দেখে চুপ থাকতে পারেন না। তারা দলীল-প্রমাণ, যুক্তিতর্ক এবং উপমা-উপদেশের মাধ্যমে সতর্ক করেন। যারা তাদের দিলের দরদের সম্মান করতে পারে, তাদের উপদেশগুলো মেনে নেয়, তারাই সফল হয়। যারা তাদেরকে প্রতিপক্ষ ভাবে তারাই বঞ্চিত, বরং ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
বার. মানুষ ভুল করতে পারে। তবে সেই সফল, যে ভুল বুঝতে পারল, মেনে নিল এবং তাওবা করে সুপথে ফিরে এল।
তের. বিনয় মহৎ গুণ। সম্মানের মুকুট। পরোপকার শ্রেষ্ঠ কর্ম। মানবতার প্রতীক। এ দুটি বৈশিষ্ট্য ব্যক্তিকে জান্নাতের পথে অগ্রসর করে। আর দম্ভ অহংকার অত্যাচার অবিচার মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
বস্তুত পৃথিবীতে কারূনের ঘটনা একটিই নয়। কারূন একটি দৃষ্টান্তমাত্র। যুগে যুগে এমন কারূনরা আসতেই থাকবে। তাদেরকে দেখে প্রতারিত হবে অনেকে। আবার এদের বিপরীতে ঈমানওয়ালা এবং ইলমওয়ালারাও থাকবেন। তারা অবিরাম দাওয়াতী মিশন অব্যাহত রাখবেন। উম্মতকে সজাগ-সতর্ক করে যাবেন। আখের সফলতা ঈমানদারদেরই ললাটে। তবে এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য ও দৃঢ়তা।
এভাবে সত্য-মিথ্যা, আলো-অন্ধকার, হক-বাতিল, জালিম-মজলুম, নির্বোধ-বুদ্ধিমানের বিভাজন কিয়ামত পর্যন্তই থেকে যাবে। আর কিয়ামতের দিন সকলের কর্মফল দিবাকরের ন্যায় পরিস্ফুট হবে।
কুরআনের পরীক্ষিত কবুল হওয়া ৩টি দোয়া