Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

হোটেল-রেস্তোরাঁয় ওয়েটারকে বখশিশ দেওয়া কি জায়েজ?

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম

হোটেল-রেস্তোরাঁয় ওয়েটারকে বখশিশ দেওয়া কি জায়েজ?

প্রশ্ন: আমাদের দেশের হোটেলগুলোতে খাবার পরিবেশনকারী ওয়েটারদেরকে বখশিশ দেওয়ার প্রচলন আছে। শুনেছি, ওয়েটারদেরকে বখশিশ হিসেবে যে টাকা দেওয়া হয়, তা নাকি ঘুষের অন্তর্ভুক্ত।

জানতে চাই, আসলেই কি ওই টাকা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত? তা দেওয়া কি নাজায়েজ? 

উত্তর: বর্তমানে হোটেল ওয়েটারদেরকে সাধারণত যে বখশিশ দেওয়ার রেওয়াজ আছে, কিছু শর্ত সাপেক্ষে তা দেওয়া এবং গ্রহণ করা জায়েজ। 

শর্তগুলো নিম্নরূপ—

১. বখশিশের কারণে সাধারণভাবে অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি সুবিধা নেওয়া যাবে না।
২. বখশিশ দানকারীকে বেশি সুবিধা দেওয়া হয়, না দিলে কম দেওয়া হয়— এমন হওয়া চলবে না।
৩. বখশিশের জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কেবল স্বতঃস্ফূর্তভাবে যা দেওয়া হয় তা-ই গ্রহণ করতে হবে।

কিন্তু বখশিশের মাধ্যমে যদি অন্যায় সুবিধা নেওয়া হয়, যেমন— বেশি খাবার খেয়ে কম টাকা দেওয়া বা এজাতীয় কিছু, তাহলে এটা ঘুষ ও চুরির অন্তর্ভুক্ত হবে এবং তা কোনোভাবেই জায়েজ হবে না।

সাধারণত অতিথি খুশি হয়ে টিপস বা একটু বেশি টাকা দিলে তা নেওয়া জায়েজ আছে, কেননা তা প্রকারান্তরে হাদিয়াই বটে।

কুরআন ছুঁয়ে কসম করার বিধান

এমনকি এই টাকা পেয়ে পরবর্তীতে যেন সে গ্রাহকের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে বা ভালোভাবে সার্ভ করে (যা মূলত: ওয়েটারের দায়িত্ব বরং কর্তৃপক্ষ সাধারণত: তা ওয়েটারদের থেকে প্রত্যাশা করে)-এ উদ্দেশ্য থাকলেও সমস্যা নেই। কিন্তু এ নিয়ত থাকলে দানের সওয়াব পাওয়া যাবে না। কিন্তু অন্যায়ভাবে কোন সুবিধা লাভ করার উদ্দেশ্য হলে এই লেনদেন অবশ্যই বৈধ নয়।

সূত্র: ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৬৩; ফাতহুল কাদীর ৬/৩৫৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১১/৭৮; মাজমাউল আনহুর ৩/২১৪; রদ্দুল মুহতার ৫/৩৬২ 

কুরআনের বর্ণনায় আলোকিত পরিবার

 
Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম