Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

নবীজি (সা.) কতবার হজ ও ওমরাহ করেছিলেন?

Icon

মিরাজ রহমান

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০২:১২ পিএম

নবীজি (সা.) কতবার হজ ও ওমরাহ করেছিলেন?

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ। সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। শারীরিক সক্ষম ও আর্থিকভাবে সচ্ছল প্রত্যেক মুমিন মুসলমান বায়তুল্লাহর কালো গিলাফ আর কালো পাথর ছুঁয়ে জীবনের সব অপরাধের জন্য ক্ষমা পেতে চান। যাদের চোখের জল আর মনের আকুতি কবুল হয় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেন।

এছাড়া অনেকে ওমরাহ পালন করে থাকেন। পবিত্র কাবাঘরের জিয়ারতই মূলত ওমরা। ইসলামের ভাষায় হজের সময় ছাড়া অন্য যেকোনো সময় পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফসহ নির্দিষ্ট কিছু কাজ করাকে ওমরা বলে। ওমরার জন্য নির্দিষ্ট সময় নেই। শুধু হজের মৌসুমে বা জিলহজ মাসের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন ওমরা করা মাকরুহ।

রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারটি ওমরাহ করেছেন। প্রত্যেকটি জিলকদ মাসে। প্রথমটি হুদায়বিয়ার ওমরাহ, যা ষষ্ঠ হিজরীতে হয়েছে। কাফেরদের প্রতিরোধের কারণে বাইতুল্লাহ শরীফে এ বছর যাওয়া হয়নি। হুদায়বিয়াতেই ইহরাম ত্যাগ করেছিলেন। 

দ্বিতীয় ওমরাহ পরবর্তী বছর হয়েছে। তৃতীয় ওমরাতুল জি’রানা। হুনাইন থেকে ফেরার পথে জি’রানা থেকে ইহরাম বেঁধে ছিলেন। চতুর্থটি বিদায় হজের সঙ্গে করেছেন।  সর্বমোট ওমরাহ চারটি হলেও পৃথক সফরে পূর্ণ উমরা হয়েছে মোট দুইটি।

আর হিজরতের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি মাত্র হজ করেছেন। সেটি হল বিদায় হজ্ব। বিদায় হজ দশম হিজরীতে হয়েছে। 

হিজরতের আগে কয়টি হজ করেছেন এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বলা যায় না। জামে তিরমিযীর এক বর্ণনায় দুইটির কথা আছে। তবে অন্যান্য দলীল দ্বারা তাবেয়ীন ও মুহাদ্দিসগণ আরো বেশি সংখ্যক হজের কথা উল্লেখ করেছেন। 

এমনকি ইবনুল আমীর (রাহ.) বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের আগে প্রতি বছরই হজ করতেন। এটাই স্বাভাবিক। তবে এর সঠিক সংখ্যা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।

হজ ফরজ হওয়ার আগে এবং পূর্ব যুগ ও ইসলামের শুরুর বছরগুলোতেও মানুষেরা মক্কায় এসে হজ পালন করতো তাদের নিজস্ব নিয়মে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তায়ালা নবুওয়ত দেওয়ার পর তিনি হজ মৌসুমকে ইসলামের প্রচার-প্রসারে কাজে লাগাতেন। এ সময় মক্কায় আগতদের মাঝে তিনি ইসলামের দাওয়াত দিতেন।

তখনকার দিনে হজ মৌসুমে মক্কার আশপাশ ও দূরবর্তী এলাকা থেকে মানুষেরা পায়ে হেঁটে, সওয়ারিতে করে হজ পালন করতে আসতো। মহানবী সা. তাদের সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন, এক আল্লাহর ওপর ঈমান আনতে বলতেন।

নবুওয়তের চতুর্থ বছর থেকে হিজরতের আগ পর্যন্ত মোট ১০ বছর তিনি প্রতি হজ মৌসুমে এভাবেই মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করতেন। এ সময় আহ্বান জানানো কোনো গোত্র ইসলাম গ্রহণ করেনি।

[তথ্যসূত্র: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ৮/৪৪৪-৪৪৯; শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়াহ ৪/১৪১; আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭/৪০৬; সহীহ বুখারী ১/২৩৮; সহীহ মুসলিম ১/৩৯৪; জামে তিরমিযী ১/১৬৮; সুনানে ইবনে মাজাহ পৃ. ২২০; মাআরিফুস সুনান ৬/২০; ফাতহুল বারী ৩/৭০২; উমদাতুল কারী ১০/১১৩; যাদুল মাআদ ৩/২৫৬; আল কামিল ফিততারীখ ২/৩০৫]

মদিনায় পৌঁছার পর নবীজির প্রথম ভাষণ

 
Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম