বাবার নামে কুরবানি দিলে ওয়াজিব আদায় হবে?
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০২:৪৩ এএম
প্রশ্ন: যার উপর কুরবানি ওয়াজিব তার নামে কুরবানি না দিয়ে অন্যর নামে কুরবানি দিলে যেমন তার বাবার নামে দিলো তাহলে কুরবানি দাতার ওয়াজিব কোরবানি আদায় হবে কিনা?
উত্তর: না, এতে তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় হবে না।
যৌথ পরিবারে অনেক ক্ষেত্রে একাধিক উপার্জনকারী ব্যক্তি থাকে। যাদের প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন মালিকানাধীন সম্পদ রয়েছে। কিন্তু যৌথ পরিবার বিধায় শুধু পরিবারের কর্তার কুরবানিই দেওয়া হয়। প্রত্যেক উপার্জনকারীর কুরবানি দেওয়া হয় না। এটা ভুল।
যৌথ পরিবার হোক বা ভিন্ন পরিবার হোক প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই তার উপর কুরবানি ওয়াজিব। যৌথ পরিবারের কর্তার কুরবানি দিলে তা পরিবারস্থ সকলের জন্য যথেষ্ট হবে না।
কুরবানির নেসাব হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি। আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি। আর অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের সম্পদ।
স্বর্ণ বা রুপার কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না হয়, তবে স্বর্ণ-রুপা উভয়টি মিলে কিংবা এর সঙ্গে প্রয়োজন-অতিরিক্ত অন্য বস্তুর মূল্য মিলে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের হয়ে যায় সে ক্ষেত্রেও কুরবানি ওয়াজিব হবে।
স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার, নগদ অর্থ, যে জমি বার্ষিক খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না এবং প্রয়োজন অতিরিক্ত আসবাবপত্র— এসবই কুরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজনে আসে না এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র, পোশাক-পরিচ্ছেদ, আসবাবপত্র, তৈজসপত্রও ধর্তব্য হবে। সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
সূত্র: ফাতওয়া হিন্দিয়া ১/১৮১; এলাউস সুনান ১৭/২১০