Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

জিলহজের প্রথম ১০ দিন যেসব আমল করতে হবে

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম

জিলহজের প্রথম ১০ দিন যেসব আমল করতে হবে

হিজরি সনের ১২ মাসের চারটি মাস বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন। এই চার মাসের অন্যতম হল জিলহজ মাস। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা বারোটি, যা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী সেই দিন থেকে চালু আছে, যেদিন আল্লাহতায়ালা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান’ (সূরা- তাওবাহ, আয়াত-৩৬)। 

মাসগুলো হল জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। এসব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ, কলহ-বিবাদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। প্রথম ৯ দিনে রোজা পালন এবং রাতে ইবাদত-বন্দেগি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়, প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো আর প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো (তিরমিজি শরিফ)।

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হল আরাফার দিন। এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। এ দিনে হাজিরা মিনা থেকে আরাফার ময়দানে সমবেত হন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এটিই হজের প্রধান রুকন। এ দিনে নফল রোজা রাখা বিশেষ সুন্নত আমল। তবে আরাফায় উপস্থিত হাজীদের জন্য এই রোজা প্রযোজ্য নয়। 

রাসূল (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আশাবাদী যে আল্লাহতায়ালা তার (রোজাদারের) বিগত এক বছরের ও সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন। (মুসলিম ও তিরমিজি শরিফ)।

মিনার তিনটি ‘জামরা’ কি তিন শয়তান?

অন্য একটি হাদিসে আছে, জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের প্রতিটি দিন ১ হাজার দিনের তুল্য আর আরাফার দিনটি ১০ হাজার দিনের সমান মর্যাদাপূর্ণ। রাসূল (সা.) আরও বলেন, আরাফার দিনটি সব দিবসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এ দিনের কসম খেয়েছেন।

আরাফার ময়দানে অবস্থানরত হাজীদের ওপর অজস্র ধারায় রহমত বর্ষিত হয়। রাসূল (সা.) বলেছেন, বদরের যুদ্ধের দিন বাদে শয়তান সবচেয়ে বেশি অপদস্থ, ধিকৃত ও ক্রোধান্বিত হয় আরাফার দিনে। কেননা এ দিন শয়তান আল্লাহ পাকের অত্যধিক রহমত এবং বান্দার অগণিত পাপরাশি মাফ হতে দেখতে পায়। (মুয়াত্তা ও মিশকাত)।

আরাফার দিনটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত রহমতের। তাই এ দিনে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করা অপরিহার্য। আরাফার দিনের আমলগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. জিকির ও তাসবিহ পাঠ করা; ২. দোয়া করা। রাসূল (সা.) বলেছেন, সর্বোত্তম দোয়া হচ্ছে আরাফার দিনের দোয়া; ৩. রোজা রাখা।

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতি ফরজ নামাজের পর একবার তাকবির বলা ওয়াজিব। জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ যে কোনো দিন, কোনো ব্যক্তির মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। পুরুষ ও নারী সবার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য।

রাসূল (সা.)-এর কাছে সাহাবারা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! এ কুরবানি কী?’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ তারা আবার বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! তাতে আমাদের জন্য কি সওয়াব রয়েছে?’ 

তিনি বললেন, ‘কুরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি সওয়াব রয়েছে।’ রাসূল (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে’।

মুসলমানের উচিত জিলহজের প্রথম দশক ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা এবং ইয়াওমে আরাফা তথা হজের দিন ইবাদত-বন্দেগির সঙ্গে রোজা পালন করা।

হারাম উপার্জনকারীর সঙ্গে কুরবানি দেওয়া যাবে?

 
Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম