আহমাদুল্লাহর সঙ্গে দ্বন্দ্ব কীভাবে, জানালেন তাহেরি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
ফাইল ছবি
হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর নবুয়তের বয়স নিয়ে সম্প্রতি শায়খ আহমাদুল্লাহ এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। এই বক্তব্যকে ভুল আখ্যা দিয়ে জোর প্রতিবাদ করেন মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। সেই প্রতিবাদের বক্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুটি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে।
যুগান্তরের বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই ইস্যুতে খোলামেলা কথা বলেছেন মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী।
তাহেরী বলেছেন, শায়খ আহমাদুল্লাহর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই। উনার (শায়খ আহমাদুল্লাহ) সঙ্গে আমার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে আকিদা কেন্দ্রিক। উনি একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই বক্তব্যটি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে ইনবক্স করে জিজ্ঞেস করে বক্তব্যর ভিত্তি কতটুকু?
ওই বক্তব্য শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ‘৪০ বছর আগে মোহাম্মদ (সা.) নবী ছিলেন না, তিনি তার পরে নবী হয়েছেন’। আমি তার বিরোধিতা করিনি কিন্তু এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছি।
আলোচিত এই বক্তা বলেন, আমাকেও এক সময় এই শায়খ আহমাদুল্লাহ কাফের ফতুয়া দিয়েছিল। কিন্তু দলিলের মাধ্যমে খণ্ডন করেছি। আমিও আশা করেছিলাম তিনি (শায়খ আহমাদুল্লাহ) একটি ভুল করেছেন সেটি দলিলের মাধ্যমে খণ্ডন করবেন। আমার চাওয়া ছিল, তিনি হয়তো ভুল স্বীকার করবেন অথবা যথাযথ বাখ্যা দেবেন। কিন্তু তিনি নিরব হয়ে আছেন। এতে জটিলতা আরও সৃষ্টি হচ্ছে।
তাহেরী বলেন, বর্তমানে শায়খ আহমাদুল্লাহর পক্ষে তিন শ্রেণির আলেম বের হয়েছে। এক শ্রেণির আলেম বলছে, ওই বক্তব্যটি শায়খ আহমাদুল্লাহর নয়, এটি একজন প্রশ্নকারীর ছিল।
আরেক শ্রেণির আলেমরা বলছেন, শায়খ আহমাদুল্লাহর বক্তব্যটি সঠিক। তারা বলছেন, ৪০ বছরে নবুয়ত পেয়েছেন।
তৃতীয় শ্রেণির আলেমরা বলছেন, তিনি ৪০ বছরে আগে যে তিনি নবী সেটা আগে কেউ চিনত না। রাসুল হিসেবে তাকে কেউ চিনত না।
মাওলানা তাহেরী মনে করেন, শায়খ আহমাদুল্লাহর একটি বক্তব্য আলেম সমাজ তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছে।