শায়েখ আহমাদুল্লাহ ও তাহেরী ইস্যুতে যা বললেন এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
সম্প্রতি শায়েখ আহমাদুল্লাহকে নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। তার এসব বক্তব্য সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি তীব্র দাবদাহে শায়েখ আহমাদুল্লাহর নেতৃত্বে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় এবং হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কবে থেকে আল্লাহুর নবী- এ রকম বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন তাহেরী। যদিও এর জবাবে শায়েখ আহমাদুল্লাহকে ‘আপত্তিকর’ কিছু বলতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন এই সময়ের আলোচিত ইসলামী চিন্তাবিদ ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী।
শুক্রবার তিনি যুগান্তরের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলাপকালে বলেন, শায়েখ আহমাদুল্লাহ ও তাহেরীর হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর কবে নবী হয়েছেন এটি বিতর্কের বিষয় নয়। এর জন্য প্রকাশ্যে বাহাসের মাধ্যমে সমাধান করলে ভাল হয়।
হযরত মুহাম্মাদ (সা.) দেড় হাজার বছর আগে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত পেয়েছিলেন। এর আগে তিনি নবী ছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবাসী বলেন, আদম (আ.) সৃষ্টির বহু আগে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রসুল। এ ক্ষেত্রে সহি হাদিস আছে- এক সাহাবি রসুলকে প্রশ্ন করেন, ইয়া আল্লাহর রসুল (সা.) আপনি কবে থেকে নবী? তখন তিনি বলেন- যখন আদম (আ.)-এর অস্তিত্ব আসেনি বা সৃষ্টি হয়নি, তখন আদমের একটা অংশ ছিল রুহ আরেকটি ছিল মাটিতে, তখন থেকে আমি মুহাম্মাদ আল্লাহর নবী। (তিরমিজি)
তিনি বলেন, আরেকটি হাদিস বুখারি শরিফে ১০ জন রেয়াত করেছেন ওয়ান ইবরাজ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি মুহাম্মাদ (সা.)-কে বলতে শুনেছি- আমি তখন থেকে নবী যখন আদম ধুলায় গাড়াগড়ি খাচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আকিদা ও বিশ্বাস আল্লাহর হাবিব মুহাম্মাদ (সা.) তখন থেকে নবী যখন আদম (আ.)-এর অস্তিত্ব লাভ করে নাই, তবে তাঁর নবুয়তের প্রকাশ ঘটেছে ৪০ বছর বয়সে। তবে তিনি আল্লাহর নবী এর ঘোষণা পেয়েছেন আদম সৃষ্টির আগে।
তিনি আরও বলেন, শুধু আদম না আরস-কুরসি ও লৌহ-কলম সৃষ্টির আগে আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর নূর তৈরি করেছেন। সব কিছুর আগে তার নূর তৈরি করেন। যেটাকে বলা হয়, নূরে মুহাম্মাদি। এর পর আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন- মুহাম্মাদ আমার সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ রসুল।
মুহাম্মাদ (সা.) এর নবী হওয়া নিয়ে আহমাদুল্লাহ ও তাহেরী বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, তারা নোঙরামিতে লিপ্ত হয়ে গেছে। এ বিষয়ে মামলা না করে একসঙ্গে বসে আলোচনা করলে তো হয়। এটাই মনে হয় ভাল। এসব বিষয় নিয়ে মামলায় জড়ালে নাস্তিক ও বামপন্থিরা সুযোগ পাবে যে আলেমেরা মামলায় জড়িয়ে গেছে।