
প্রিন্ট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৮ পিএম
গ্রহীতাকে না জানিয়ে জাকাত দিলে আদায় হবে?

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

আরও পড়ুন
জাকাত আরবি শব্দ। এর আবিধানিক অর্থ বৃদ্ধি, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি।
ইসলামি পরিভাষায় ধনী ব্যক্তিদের নিসাব (নির্ধারিত) পরিমাণ সম্পদ থাকলে নির্দিষ্ট অংশ গরিব অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেয়াকে জাকাত বলে।
জাকাত অসহায় ও দরিদ্রের অধিকার। ধনীদের শরিয়তের বিধান অনুসারে জাকাত আদায় করা একান্ত আবশ্যক।
জাকাত প্রদান করা দরিদ্রের প্রতি ধনী লোকদের কোনো দয়া বা অনুগ্রহ নয়, বরং জাকাত হল দরিদ্র লোকের প্রাপ্য বা অধিকার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে অবশ্যই দরিদ্র ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।’
তাদের অধিকার অবশ্যই দিতে হবে। অন্যথায় সমুদয় সম্পদ তার জন্য অপবিত্র হয়ে যাবে। পরিণামে তাদের পরকালে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
শরিয়তের পরিভাষায় জাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণকে নিসাব বলে। সারা বছর জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের পর বছর শেষে যার হাতে নিসাব পরিমাণ সম্পদ উদ্বৃত্ত থাকে তাকে বলে সাহিবে নিসাব বা নিসাবে মালিক।
শরিয়তের পরিভাষায় ইসলামি বিধান অনুযায়ী যাদের জাকাত দেয়া যায়, তাদের বলা হয় মাসরিফ। জাকাতের মাসরিফ অর্থাৎ কোন কোন খাতে জাকাতের অর্থ ব্যয় করতে হবে আল্লাহতায়ালা স্বয়ং তা নির্ধারণ করে দিয়েছে। নির্ধারিত এ খাত হলো আটটি। এ আটটি খাতেই জাকাত দেওয়া সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য আবশ্যক।
জাকাত আদায় হওয়ার জন্য জাকাতদাতার নিয়ত জরুরি, জাকাত গ্রহণকারীর জানা জরুরি নয় যে তাকে জাকাত দেওয়া হচ্ছে। তাই হাদিয়া, ঈদ উপহার ইত্যাদি যে কোনো কিছু বলে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে জাকাতের সম্পদ পৌঁছে দিলে জাকাত আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার: ২/২৬৮)
আরও পড়ুুন: আয়কর দিলেও জাকাত দিতে হবে?