রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যা বললেন বাইডেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৪৪ এএম
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করেন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত থাকতে পারে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খবর সিএনএনের।
ওয়াগনার (রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল) প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বিমানযাত্রীদের মধ্যে তালিকাভুক্ত এবং তাকে লক্ষ্যবস্তু করলে বাইডেন অবাক হবেন না।
জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ব্যর্থ বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনের নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত।
বাইডেন বলেন, ‘আমি জানি না বাস্তবে কী ঘটেছে, তবে আমি অবাক হইনি।’
ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে জুলাই মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রিগোজিনকে নিয়ে কৌতুক বলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি হলে কী খাচ্ছি সতর্ক থাকতাম, আমার খাবারের তালিকায় নজর রাখতাম।’
তিনি বলেন, রাশিয়ায় যা ঘটে তা পুতিনের হাতেই হয়। এর চেয়ে বেশি কিছু আমার আর বলার নেই।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, বুধবার মস্কোর টাভার অঞ্চলে একটি প্রাইভেট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে থাকা ১০ জনের সবাই নিহত হয়েছেন।
বিমানযাত্রীর তালিকায় ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নাম ছিল।
নিহত আরোহীদের একজনের নাম প্রিগোজিন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও। তবে দুর্ঘটনার বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানায়নি তারা।
রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ১০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উদ্ধার অভিযান শেষ করেছে রাশিয়ার জরুরি সেবা বিভাগ। তবে লাশগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।
প্রিগোজিন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিল। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের আগ পর্যন্ত আড়ালে থেকে বাহিনী পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে তিনি ও তার বাহিনী প্রকাশ্যে আলোচনায় আসেন।
প্রিগোজিনের যোদ্ধারা রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জুন মাসের শেষের দিকে ওয়াগনার বাহিনী সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহের অবসান হয়। সমঝোতা অনুসারে তার বেলারুশে নির্বাসনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোথায় অবস্থান করছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।
এ সপ্তাহের শুরুতে প্রিগোজিন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তাতে তিনি আফ্রিকায় থাকার দাবি করেছেন।
প্রিগোজিন সেন্ট পিটার্সবার্গে বড় হন। ৮০’র দশকে চুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর ৯ বছর কারাগারে ছিলেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ৯০’র দশকে তার পরিচয়। ক্রেমলিনের বিভিন্ন খাবারের চুক্তি পাওয়ার মাধ্যমে বিত্তশালী হয়ে ওঠেন তিনি। একসময় তিনি ‘পুতিনের শেফ’ হিসেবে পরিচিত পান।