
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫১ এএম
অর্থ পাচারের দায়ে পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রীর ১৫ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০০ পিএম

আরও পড়ুন
অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্টা হুমালা। এর দায়ে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হুমালার সঙ্গে তার স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াকেও ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচার চলার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির একটি আদালত এই কারাদণ্ড দেন। খবর বিবিসির।
প্রসিকিউশন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট এবং তার স্ত্রীর আরও বেশি শাস্তি দাবি করেছিলেন।
রাজধানী লিমার ওই আদালতে বলা হয়, হুমালা ২০০৬ এবং ২০১১ সালে তার নির্বাচনি প্রচারের জন্য ব্রাজিলিয়ান নির্মাণ সংস্থা ওডেব্রেখট থেকে অবৈধ তহবিল গ্রহণ করেছিলেন। স্ত্রী হেরেদিয়া নির্বাচনি প্রচারের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। হুমালার দল ন্যাশনালিস্ট পার্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হেরেদিয়া।
প্রসিকিউশন হুমালার ২০ বছর এবং হেরেদিয়ার সাড়ে ২৬ বছরের সাজা চেয়েছিল। তবে দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচার চলার পর আদালত তাদের ১৫ বছর কারাদণ্ড দেন। হুমালা ও হেরেদিয়া দুজনই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
অর্থ পাচার মামলার রায় ঘোষণার সময় হুমালা আদালতে উপস্থিত ছিলেন, আর তার স্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেন। হেরেদিয়া ও তার ছেলে ব্রাজিলে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০০৬ সালে, প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হুমালা। তিনি তৎকালীন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছিলেন এবং প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, হুমালা তার প্রচারণার জন্য শ্যাভেজের কাছ থেকে অবৈধ তহবিল গ্রহণ করেছিলেন।
সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ওলান্টা হুমালা ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।