
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১২ এএম
আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শিন বেত প্রধানের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৪ এএম

আরও পড়ুন
ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত-এর প্রধান রোনেন বার শিগগিরই পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যদিও ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি তাকে পদে বহাল থাকার নির্দেশ দিয়েছে। দেশটির চ্যানেল ১২ নিউজ সোমবার রাতে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে রোনেন বার তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে জানিয়েছেন, তিনি তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চান। তার মতে, তার পদ নিয়ে চলমান রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্ক সংস্থার স্পর্শকাতর কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের হস্তক্ষেপ
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আস্থার সংকট দেখিয়ে রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হলে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করে। আদালত একটি সাময়িক আদেশ দিয়ে তাকে দায়িত্বে বহাল থাকতে বলে এবং সরকারের পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে এই সংকটের সমাধান করতে নির্দেশ দেয়।
তবে চ্যানেল ১২-এর সূত্র অনুযায়ী, রোনেন বার আগামী সপ্তাহে আদালতে একটি আনুষ্ঠানিক মেমোরেন্ডাম জমা দেবেন, যেখানে তিনি তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করবেন।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্বার্থসংঘাতের অভিযোগ
এদিকে, বিরোধীরা নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলছেন, রোনেন বার ও শিন বেত বর্তমানে এমন কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছেন, যারা নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজ করার সময় কাতারের হয়ে লবিং করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বারকে সরানোর চেষ্টা স্বার্থসংঘাতের শামিল বলে মনে করছেন তারা।
৭ অক্টোবরের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি বারকে বলি?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের নিরাপত্তা ব্যর্থতার জন্য শিন বেতকে দায়ী করে নিজের দায় এড়াতে চাইছেন। ওইদিন হামাসের চমকে দেওয়া হামলায় ইসরাইল ব্যাপক নিরাপত্তা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল, যা গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বড় প্রশ্ন তুলেছিল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরাইলের নিরাপত্তা সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং রাজনীতির মধ্যে চলমান সংঘাত দেশটির অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পরিচালনায় নতুন সংকট তৈরি করেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।