
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৩ এএম
ইসরাইলি পণ্য বর্জন জরুরি: পাকিস্তানি আলেম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম

আরও পড়ুন
পাকিস্তানের কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজির প্রধান আল্লামা রাগিব নাঈমি বলেছেন, ইসরাইলি পণ্য ও কোম্পানিগুলোর ওপর অর্থনৈতিক বয়কট আরোপ জরুরি, কিন্তু এ বয়কটে সাধারণ নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির কোনো ক্ষতি করা উচিত নয়।
আল্লামা রাগিব নাঈমি এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ইসরাইলের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সবার সাধ্যমতো দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।
কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজির চেয়ারম্যান বলেন, ইসরাইলি পণ্য ও কোম্পানিগুলোকে অর্থনৈতিক বয়কট করা প্রয়োজন।কিন্তু অর্থনৈতিক বয়কটে সাধারণ নাগরিকের জানমাল ও সম্পত্তির যেন কোনো ক্ষতি না হয়।
পাকিস্তানে ইসলামী আদর্শকে সমুন্নত রাখতে যে জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে সেটিই ইসলামী নজরিয়াতি কাউন্সিল বা কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি।
গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব জেরুজালেমকে (আল-কুদস আল-শরিফ) রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে এবং ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে জাতীয় ফিলিস্তিন সম্মেলনে বিশ্বের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের শরীয়া বেঞ্চের সাবেক বিচারপতি মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানসহ সব মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র জিহাদ ফরজ বলে ফতোয়া দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিদের জন্য মানবিক, আর্থিক ও বাস্তবিক সাহায্য করা মুসলিম উম্মাহর ওপর অবশ্য কর্তব্য। পাকিস্তানসহ সকল মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে। শুধু মুখরোচক কথা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়া আর সম্ভব নয়।
মুফতি তাকি উসমানি বলেন, আসল করণীয় ছিল আমরা এখানে জড়ো হওয়ার পরিবর্তে গাজায় গিয়ে জড়ো হওয়া। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের জন্য বাস্তবে কিছুই করতে পারিনি। ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য জান-মাল উৎসর্গ করা পুরো মুসলিম উম্মাহর ওপর ফরজ।
তিনি বলেন, কালেমা পাঠ করা ৫৫ হাজারেরও বেশি মুসলিমকে নিহত হতে দেখে কি এখনো জিহাদ ফরজ হয়নি?