
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করায় আত্মহত্যা করলেন বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
পরিবারের অমতে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করেন মেয়ে। তবে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি মেয়ের বাবা। এ ঘটনার পর থেকেই দুঃখ-কষ্ট ও বিষন্নতায় ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে বেছে নেন আত্মহননের পথ।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিরে। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মহত্যার শিকার ওই বাবার নাম ঋষিরাজ ওরফে সঞ্জু জসওয়াল। প্রায় ১৫ দিন আগে তার মেয়ে হর্ষিতা পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করে। যদিও পরে তাকে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনা হয় কিন্তু সে আদালতের কাছে জানায়, সে বৈধভাবে এখন বিবাহিত এবং সে তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চায়।
আর এই বিষয়গুলো মেনে না নিতে পেরেই আত্মহত্যা করেন ঋষিরাজ। পিস্তল দিয়ে নিজেকে গুলি করেন তিনি। তার মরদেহ পাওয়া যায় তার শোবার ঘরে। সেখানে একটি নোটও পাওয়া যায়।
সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, ‘হর্ষিতা, তুমি ভুল করেছো। আমি চলে যাচ্ছি। আমি তোমাদের দুজনকে হত্যা করতে পারতাম। কিন্তু আমি কীভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করব?’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তুমি যা করেছো, ঠিক করোনি। আর যে আইনজীবী অল্প কিছু টাকার জন্য পুরো পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে তার কী কোনো মেয়ে নেই? সে কি একজন বাবার কষ্ট বুঝতে পারে না? একটি পরিবার পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সমাজে এখন আর কিছু বাকি নেই।’
আইনি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি নোটে লিখেছেন, ‘আর্য সমাজের অধীনে যদি একটি বিয়ে বৈধ না হয়, তাহলে আদালত কীভাবে একজন মেয়েকে তার সঙ্গীর সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে? তারা আমাদের পুরো পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। কেউ আমার কষ্ট বোঝেনি। ’
ঘটনার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিরঞ্জন শর্মা বলেছেন, ‘এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাপ্তবয়স্ক ওই তরুণী অন্য সম্প্রদায়ের এক ছেলেকে বিয়ে করেছিল। এ নিয়ে তার বাবা কয়েকদিন ধরে বিষন্নতায় ভুগছিলেন। সুইসাইড নোটে এগুলোর ধারণা পাওয়া গেছে। ‘
আরেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ লালচন্দনি বলেছেন, ‘ঋষিরাজের মেয়ে ১৫ দিন আগে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। এরপর তাকে ইন্দোর থেকে খুঁজে বের করে আনা হয়। পরবর্তীতে ওই মেয়ে আদালতে জানায় সে তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চায়। এ ঘটনার পর থেকে বিষন্নতায় ভোগ শুরু করে তার বাবা।’