প্রেমের টানে ভারতের গ্রামে হাজির আমেরিকান তরুণী

ইনস্টাগ্রামে সামান্য একটি ‘হাই’ দিয়ে কথপোকথনের শুরু। পরবর্তী ১৪ মাসে আরও বৃদ্ধি পায় একে অপরের সঙ্গে কথা বলা। এরপর সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। সেই প্রেমের টানেই আমেরিকা থেকে ছুটে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে চলে এসেছেন তরুণী। তারা এখন গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা করছেন।

জেসলিন ফরেরো পেশায় একজন ফোটোগ্রাফার। অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা চন্দন সিং রাজপুতের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে তার আলাপ হয়। চন্দনের ইনস্টাগ্রামের প্রোফাইল দেখে এবং সরলতা মুগ্ধ করে তাকে। নিজের ইনস্টাগ্রামে জেসলিন লিখেছেন, ‘১৪ মাস ধরে একসঙ্গে রয়েছি। পরবর্তী বড় অধ্যায়ের জন্য তৈরি।’

৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন জেসলিন। ভিডিওটিতে একসঙ্গে থাকার বেশ কিছু মুহূর্ত শেয়ারের পাশাপাশি একটি সাধারণ ম্যাসেজ কীভাবে অটুট বন্ধনে পরিণত হয়েছে তা জানিয়েছেন। 

তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রথমে চন্দনকে ম্যাসেজ করেছিলাম। তার প্রোফাইল থেকে আমি দেখেছি যে সে একজন আবেগপ্রবণ খ্রিস্টান ব্যক্তি যিনি ধর্মতত্ত্ব জানতেন।’

জেসলি চন্দনের পছন্দের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন, যা তার সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলে যায়- সঙ্গীত, শিল্প এবং ফটোগ্রাফি। তিনি আরও বলেন, ‘আট মাস অনলাইনে ডেটিং করার পর এবং আমার মায়ের অনুমতি পাওয়ার পর, তিনি এবং আমি জীবনের এক অন্য ভ্রমণের জন্য ভারতে উড়ে গিয়েছিলাম।’

চন্দনের চেয়ে বয়সে নয় বছরের বড় জেসলিন। বয়সের এই পার্থক্য নিয়েও তাকে কম কথা শুনতে হয়নি। তা নিয়েও লিখেছেন জেসলিন। 

তিনি ভিডিওটি শেষ করেছেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু ঈশ্বর অলৌকিকভাবে দরজা খুলে দিচ্ছেন এবং প্রতিটি পদক্ষেপে আমাদের জন্য ব্যবস্থা করছেন। কারণ তিনি (যীশু) আমাদের এক করেছেন এবং তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন।’

মার্কিন তরুণী ও ভারতীয় তরুণের প্রেমের গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।