
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৪ এএম
মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিমকোর্টের

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

আরও পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দফতর যে প্রায় ছয় হাজার অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করেছিল, তাতে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো বা সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেছে ভারতের শীর্ষ আদালত।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ওই অতিরিক্ত শূন্যপদের সিদ্ধান্ত বেআইনি এবং যেহেতু সিদ্ধান্তটি রাজ্য মন্ত্রিসভা নিয়েছিল, তাই মন্ত্রীদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।
রাজ্য স্কুল শিক্ষা কমিশন বা এসএসসির শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি সামনে আসার পরে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি প্রায় ছয় হাজার ‘অযোগ্য’, অর্থাৎ যারা কথিতভাবে ঘুস দিয়ে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন।
এর পরেই রাজ্য মন্ত্রিসভা অতিরিক্ত শূন্য পদ সৃষ্টি করে ওই ‘অযোগ্য’ চাকরি হারাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ।
তবে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে যে এই অতিরিক্ত শূন্য পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল নিয়ম মেনেই। রাজ্যপালেরও সম্মতি নেওয়া হয়েছিল তাতে। তাই এক্ষেত্রে সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করার দরকার নেই।
মঙ্গলবারের রায়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিছুটা স্বস্তি পেল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও গত সপ্তাহে এই স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত, তা এখন মমতা ব্যানার্জীর সরকারের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওই রায়ে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। তারা যে বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন, সেই ২০১৬ সালের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং কারা ঘুস দিয়ে আর কারাই বা নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন, তা পৃথক করা যায়নি। তাই সবারই চাকরি বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
তবে মমতা ব্যানার্জী ওই চাকরি হারা শিক্ষকদের সামনে এক বক্তৃতায় সোমবার বলেছেন যে কারও চাকরি যাবে না, তাদের সরকারি নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতেও বলেছেন তিনি। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যাও চাইবে রাজ্য সরকার। তবে মমতা ব্যানার্জীর ওই ঘোষণা নিয়ে শিক্ষক মহলে নানা বিভ্রান্তিও রয়েছে।