Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

‘হিজবুল্লাহর অস্ত্র রাষ্ট্রের হাতে আনতে হবে’ — বৈরুতে মার্কিন দূতের বার্তা

Icon

এএফপি

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৬ এএম

‘হিজবুল্লাহর অস্ত্র রাষ্ট্রের হাতে আনতে হবে’ — বৈরুতে মার্কিন দূতের বার্তা

লেবাননের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন উপ-বিশেষ দূত মরগান ওর্তাগাস শনিবার বৈরুতে তার বৈঠকগুলোতে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার বিষয়টি তুলেছেন, যদিও এ নিয়ে কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এনএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার তিনি লেবানের অর্থমন্ত্রী ইয়াসিন জাবের, অর্থনীতি মন্ত্রী আমের বিসাত এবং সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর করিম সুয়াইদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

কর্মকর্তাটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দূত লেবাননের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হিজবুল্লাহর সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলা এবং অস্ত্র শুধু রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে কাজ দ্রুততর করার বিষয়টি আলোচনা করেছেন, তবে কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।’

লেবাননে ওর্তাগাসের এটি দ্বিতীয় সফর, এমন এক সময়ে যখন ইসরাইল এখনও দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও গত বছরের নভেম্বরের অস্ত্রবিরতির পর লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের প্রায় এক বছরের সংঘাত অনেকটা কমে এসেছে।

ওর্তাগাস সফরকালে সাংবাদিকদের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে লেবানের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এবং প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম বলেছেন, শনিবারের আলোচনা ‘ইতিবাচক’ ছিল এবং এতে দক্ষিণ লেবাননের পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, লেবানের দক্ষিণাঞ্চলে শুধু রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী অবস্থান করতে পারবে এবং সব অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করতে হবে।

ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ ১৯৭৫-১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধ শেষে একমাত্র গোষ্ঠী যারা অস্ত্র জমা না দিয়ে সশস্ত্র রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সংঘাতে তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

লেবাননের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দূত জানিয়েছেন, লেবানের পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে হলে আগে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব বিস্তার ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।’

লেবানের নতুন সরকারকে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর শর্ত পূরণ করে জরুরি তহবিল আনলক করতে হবে। দেশটি পাঁচ বছর ধরে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ধসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার জন্য সরকারি দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করা হয়।

ইসরাইল-হিজবুল্লাহ সর্বশেষ সংঘাতের পর এখন পুনর্গঠনেও বড় অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন দেশটির।

শুক্রবার দায়িত্ব নিয়েই নতুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর করিম সুয়াইদ বলেছেন, তিনি অর্থনৈতিক সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবেন।  

ওর্তাগাসের সঙ্গে রোববারের আলোচনায় অর্থমন্ত্রী ও অর্থনীতি মন্ত্রীরাও অংশ নেন এবং তাতে ‘সরকার কর্তৃক গৃহীত সংস্কার ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের রূপরেখা’ নিয়ে আলোচনা হয় বলে এনএনএ জানিয়েছে।

লেবাননের নতুন কর্তৃপক্ষ বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ও ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এটি দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমানবন্দর।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি থেকে লেবানন-ইরান ফ্লাইট স্থগিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছিল যে, ইসরাইল বৈরুত বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে, যদি সেখানে ইরান থেকে হিজবুল্লাহর জন্য অস্ত্র পরিবহনের তথ্য মেলে – এমন তথ্য সে সময় এএফপিকে জানিয়েছিল লেবানের একটি নিরাপত্তা সূত্র।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম