
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৩ এএম

নোমান সাবিত, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৭ এএম
-67eed7b2b8e78.jpg)
আরও পড়ুন
বিশ্বের ১৮৪ দেশের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) শুল্ক ঘোষণা করে তিনি বছরের পর বছর ধরে অবিচারমূলক বাণিজ্য নীতিমালা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প এটিকে শুল্ক ‘মুক্তি দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প রোজ গার্ডেনে ঘোষণা করেন যে, সকল বিদেশি দেশের জন্য একটি মূলধারার ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তবে কিছু দেশের উপর আরও বেশি শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প জানান এই পাল্টা শুল্ক নির্ধারণ করা হবে শুল্ক হার এবং মুদ্রা সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতাসহ অন্যান্য অ-আর্থিক বাধাগুলোর সমন্বয়ে এবং সেই মোটকে অর্ধেকে ভাগ করে।
ট্রাম্প বলেন কানাডা এবং মেক্সিকোর জন্য এখনও ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে, তবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির অধীনে থাকা পণ্যগুলি এই শুল্ক থেকে অব্যাহতি পাবে। 'শুল্কগুলি পুরোপুরি পাল্টা হবে না। আমি তা করতে পারতাম, তবে এটি অনেক দেশের জন্য কঠিন হয়ে যেত'।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।
বাংলাদেশের প্রধান দুই রপ্তানি বাজারের একটি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের একটি বড় অংশ রপ্তানি হয় দেশটিতে। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি হয় প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন (৮৪০ কোটি) ডলার, যা প্রধানত তৈরি পোশাক। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন (৭৩৪ কোটি) ডলারে।
নতুন করে উচ্চ মাত্রায় এই শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ২টা) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে শুল্ক ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে উপস্থিত সাংবাদিকসহ সমবেতদের উদ্দেশে বক্তব্যের শুরুতেই ট্রাম্প বলেন, ‘আজ খুব ভালো খবর’ থাকবে। এ সময় দর্শক সারি থেকে করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়।
এই দিনকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস’ অভিহিত করেন ট্রাম্প। নতুন শুল্ক আরোপকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হিসেবে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন, এই দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছে।
ট্রাম্পের পাল্টা এই শুল্ক আরোপে ভারতের পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পাকিস্তানের পণ্যের ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ। ট্রাম্প একটি পোস্টার বোর্ড ধরে দেখান যে, প্রতিটি দেশের জন্য কত শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিম্নে দেশভিত্তিক শুল্ক হার দেওয়া হল (সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন):
লেসোথো: ৫০ শতাংশ, সেন্ট পিয়ের এবং মিকেলন: ৫০ শতাংশ, কম্বোডিয়া: ৪৯ শতাংশ, লাওস: ৪৮ শতাংশ, মাদাগাস্কার: ৪৭ শতাংশ, ভিয়েতনাম: ৪৬ শতাংশ, মিয়ানমার: ৪৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা: ৪৪ শতাংশ, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ: ৪১ শতাংশ, সিরিয়া: ৪১ শতাংশ, মরিশাস: ৪০ শতাংশ, ইরাক: ৩৯ শতাংশ, গায়ানা: ৩৮ শতাংশ, বতসোয়ানা: ৩৭ শতাংশ, বাংলাদেশ: ৩৭ শতাংশ, রিইউনিয়ন: ৩৭ শতাংশ, সার্বিয়া: ৩৭ শতাংশ, লিশটেনস্টাইন: ৩৭ শতাংশ, থাইল্যান্ড: ৩৬ শতাংশ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা: ৩৫ শতাংশ
চীন: ৩৪ শতাংশ, উত্তর মেসিডোনিয়া: ৩৩ শতাংশ, ফিজি: ৩২ শতাংশ, তাইওয়ান: ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া: ৩২ শতাংশ, অ্যাঙ্গোলা: ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ড: ৩১ শতাংশ, মলদোভা: ৩১ শতাংশ, লিবিয়া: ৩১ শতাংশ,আলজেরিয়া: ৩০ শতাংশ, নাউরু: ৩০ শতাংশ,নরফোক দ্বীপপুঞ্জ: ২৯ শতাংশ, পাকিস্তান: ২৯ শতাংশ, তিউনিসিয়া: ২৮ শতাংশ, কাজাখস্তান: ২৭ শতাংশ,ভারত: ২৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া: ২৫ শতাংশ, ব্রুনেই: ২৪ শতাংশ, জাপান: ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়া: ২৪ শতাংশ, ভানুয়াতু: ২২ শতাংশ, আইভরি কোস্ট: ২১ শতাংশ, নামিবিয়া: ২১ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ২০ শতাংশ, জর্ডান: ২০ শতাংশ, জিম্বাবুয়ে: ১৮ শতাংশ, নিকারাগুয়া: ১৮ শতাংশ, ইসরায়েল: ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইন: ১৭ শতাংশ, জাম্বিয়া: ১৭ শতাংশ, মালাউই: ১৭ শতাংশ, মোজাম্বিক: ১৬ শতাংশ, নরওয়ে: ১৫ শতাংশ, ভেনেজুয়েলা: ১৫ শতাংশ, নাইজেরিয়া: ১৪ শতাংশ, চাদ: ১৩ শতাংশ, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি: ১৩ শতাংশ, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র: ১১ শতাংশ, ক্যামেরুন: ১১ শতাংশ, যুক্তরাজ্য: ১০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকা: ১০ শতাংশ, ব্রাজিল: ১০ শতাংশ, সিঙ্গাপুর: ১০ শতাংশ, চিলি: ১০ শতাংশ,অস্ট্রেলিয়া: ১০ শতাংশ, তুরস্ক: ১০ শতাংশ, কলম্বিয়া: ১০ শতাংশ, পেরু: ১০ শতাংশ, কোস্টারিকা: ১০ শতাংশ, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র: ১০ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১০ শতাংশ, নিউজিল্যান্ড: ১০ শতাংশ, আর্জেন্টিনা: ১০ শতাংশ, ইকুয়েডর: ১০ শতাংশ,গুয়াতেমালা: ১০ শতাংশ, হন্ডুরাস: ১০ শতাংশ, মিশর: ১০ শতাংশ, সৌদি আরব: ১০ শতাংশ, ইউক্রেন: ১০ শতাংশ, বাহরাইন: ১০ শতাংশ, কাতার: ১০ শতাংশ, এল সালভাদর: ১০ শতাংশ
ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো: ১০ শতাংশ, মরক্কো: ১০ শতাংশ, উরুগুয়ে: ১০ শতাংশ, বাহামাস: ১০ শতাংশ, আইসল্যান্ড: ১০ শতাংশ, কেনিয়া: ১০ শতাংশ, হাইতি: ১০ শতাংশ,বলিভিয়া: ১০ শতাংশ, পানামা: ১০ শতাংশ, ইথিওপিয়া: ১০ শতাংশ, ঘানা: ১০ শতাংশ, জ্যামাইকা: ১০ শতাংশ, প্যারাগুয়ে: ১০ শতাংশ, লেবানন: ১০ শতাংশ, তানজানিয়া: ১০ শতাংশ, জর্জিয়া: ১০ শতাংশ, সেনেগাল: ১০ শতাংশ, আজারবাইজান: ১০ শতাংশ, উগান্ডা: ১০ শতাংশ, আলবেনিয়া: ১০ শতাংশ, আর্মেনিয়া: ১০ শতাংশ
নেপাল: ১০ শতাংশ, সিন্ট মার্টেন: ১০ শতাংশ, গ্যাবন: ১০ শতাংশ, কুয়েত: ১০ শতাংশ, টোগো: ১০ শতাংশ, সুরিনাম: ১০ শতাংশ, বেলিজ: ১০ শতাংশ, পাপুয়া নিউ গিনি: ১০ শতাংশ, লাইবেরিয়া: ১০ শতাংশ, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ: ১০ শতাংশ, আফগানিস্তান: ১০ শতাংশ, বেনিন: ১০ শতাংশ, বার্বাডোস: ১০ শতাংশ, মোনাকো: ১০ শতাংশ, উজবেকিস্তান: ১০ শতাংশ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র: ১০ শতাংশ, জিবুতি: ১০ শতাংশ, ফরাসি পলিনেশিয়া: ১০ শতাংশ, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ: ১০ শতাংশ, কসোভো: ১০ শতাংশ, কুরাসাও: ১০ শতাংশ, রুয়ান্ডা: ১০ শতাংশ, সিয়েরা লিওন: ১০ শতাংশ, মঙ্গোলিয়া: ১০ শতাংশ, সান মেরিনো: ১০ শতাংশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা: ১০ শতাংশ, বারমুডা: ১০ শতাংশ, এসওয়াতিনি: ১০ শতাংশ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ: ১০ শতাংশ, সেন্ট কিটস এবং নেভিস: ১০ শতাংশ, তুর্কমেনিস্তান: ১০ শতাংশ, গ্রেনাডা: ১০ শতাংশ, সুদান: ১০ শতাংশ
তুর্কস এবং কাইকোস দ্বীপপুঞ্জ: ১০ শতাংশ, আরুবা: ১০ শতাংশ, মন্টেনেগ্রো: ১০ শতাংশ, সেন্ট হেলেনা: ১০ শতাংশ, কিরগিজস্তান: ১০ শতাংশ, ইয়েমেন: ১০ শতাংশ, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস: ১০ শতাংশ, নাইজার: ১০ শতাংশ, সেন্ট লুসিয়া: ১০ শতাংশ, ইরান: ১০ শতাংশ, সামোয়া: ১০ শতাংশ, গিনি: ১০ শতাংশ, তিমোর-লেস্তে: ১০ শতাংশ, মন্টসেরাট: ১০ শতাংশ, মালি: ১০ শতাংশ, মালদ্বীপ: ১০ শতাংশ, তাজিকিস্তান: ১০ শতাংশ, ক্যাবো ভার্দে: ১০ শতাংশ, বুরুন্ডি: ১০ শতাংশ, গুয়াদেলুপ: ১০ শতাংশ, ভুটান: ১০ শতাংশ, মার্টিনিক: ১০ শতাংশ, টঙ্গা: ১০ শতাংশ, মরিতানিয়া: ১০ শতাংশ, ডোমিনিকা: ১০ শতাংশ, মাইক্রোনেশিয়া: ১০ শতাংশ, গাম্বিয়া: ১০ শতাংশ, ফরাসি গিয়ানা: ১০ শতাংশ, ক্রিসমাস দ্বীপ: ১০ শতাংশ, অ্যান্ডোরা: ১০ শতাংশ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র: ১০ শতাংশ, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ: ১০ শতাংশ, মায়োত্তে: ১০ শতাংশ, অ্যাঙ্গুইলা: ১০ শতাংশ, কোকোস দ্বীপপুঞ্জ: ১০ শতাংশ, এরিত্রিয়া: ১০ শতাংশ, কুক দ্বীপপুঞ্জ: ১০ শতাংশ, দক্ষিণ সুদান: ১০ শতাংশ, কোমোরোস: ১০ শতাংশ, কিরিবাতি: ১০ শতাংশ, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে: ১০ শতাংশ, জিব্রাল্টার: ১০ শতাংশ, টুভালু: ১০ শতাংশ, ব্রিটিশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল: ১০ শতাংশ, টোকোলাও: ১০ শতাংশ, গিনি-বিসাউ: ১০ শতাংশ, স্বালবার্ড এবং জান মেয়েন: ১০ শতাংশ এবং হার্ড এবং ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ: ১০ শতাংশ।
অন্যান্য যেসব দেশের পণ্যের ওপর বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে মিয়ানমারের পণ্যে ৪৪ শতাংশ, লাওসের পণ্যে ৪৮ শতাংশ এবং মাদাগাস্কারের পণ্যের ওপর ৪৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পাল্টা এই শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে থাকা ট্রাম্প বলেছেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কখনো কখনো ‘বন্ধু শত্রুর চেয়ে খারাপ হয়’। যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের বিদেশি গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় যেসব গাড়ি উৎপাদন করা হয় তার ৮০ শতাংশের বেশি সেদেশে বিক্রি হয়। আর জাপানে যেসব গাড়ি বিক্রি হয় সেগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি সেদেশে তৈরি হয়। এসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি বিক্রি হয় খুব সামান্য।
মার্কিন কোম্পানি ফোর্ড অন্যান্য দেশে খুব কম গাড়ি বিক্রি করে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, অন্য যে কোনো দেশে তৈরি মোটরযানের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হবে এবং এটা আজ মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হবে।
শুল্ক আরোপের ঘোষণাকে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রতিফলন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আজকের দিনকে আমেরিকান শিল্পের ‘পুনর্জন্ম’ এবং আমেরিকাকে ‘আবার সম্পদশালী’ করার দিন হিসেবে স্মরণ করা হবে।
এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বাধার মুখে রয়েছে। অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধা আরও খারাপ অবস্থা তৈরি করেছে।
বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মেধাসত্ত চুরিসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপের অভিযোগ করেছেন তিনি।