
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫০ এএম
ঘনবসতি, বাড়িঘর, বাজারে বোমা ফেলছে ইসরাইল

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ পিএম

গাজায় অবিরত ইসরাইলি তাণ্ডব চলছেই। আন্তর্জাতিক হুমকি আর সমালোচনাতেও থামছে না যুক্তরাষ্ট্রের মদদে চলা নেতানিয়াহু বাহিনী। এতশত মৃত্যুর পরও গাজার ঘনবসতি, ঘরবাড়ি, বাজারে বোমা ফেলছে তারা। আল-জাজিরা।
চলতি মাসের শুরুতে যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে গাজায় আবারও হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। বাইত লাহিয়া, রাফাহ, খান ইউনিসসহ উপত্যকাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে তারা।
শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার আগে গাজার জাইতুন এলাকায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। ভিন্ন একটি হামলায় গাজার পূর্ব দিকে খান ইউনিস শহরে ইসরাইলি হামলায় আরও ছয়জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপত্যকাটির অন্যান্য স্থানেও বোমা হামলা হয়েছে। এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে আবাসিক ভবন ও শরণার্থী শিবির লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করছে সেনারা। এছাড়া মধ্য গাজার একটি ব্যস্ত বাজারেও চলেছে বর্বর সেনাদের নৃশংসতা। সেখানে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজায় অন্তত ৫০ হাজার ২০৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৩ হাজার ৯১০ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
নির্বিচার হামলা তো চলছেই, এরই মধ্যে গাজায় কোনো ত্রাণ সহায়তাও ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরাইল। গত তিন সপ্তাহে গাজার অভ্যন্তরে কোনো মানবিক সহায়তা পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। যেখানে আগে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক উপত্যকায় ঢুকত। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বলেছে, ১৮ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে গাজায় যত ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের চেষ্টা করেছে তার ৮২ শতাংশই ফিরিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে উপত্যকাটিতে অপুষ্টি ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে বলে সতর্ক করেছে ইউএনআরডব্লিউএ।
ইতোমধ্যেই গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তীব্র ক্ষুধা ও অপুষ্টির শিকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেছেন, এটি মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার সময়। এ ছাড়া উত্তর গাজার বেইত হানুন এবং বেইত লাহিয়া এলাকায় নতুনভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলেও সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ
- ৩০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
আরও পড়ুন