
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৭ এএম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৬ পিএম

আরও পড়ুন
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত-এর প্রধান রোনেন বার-কে বরখাস্ত করা এবং গাজায় আবার হামলা শুরুর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছে দেশটির জনগণ। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে জেরুজালেম ও তেল আবিবের রাজপথ। প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও মশাল হাতে প্রতিবাদে ফুঁসছে পুরো ইসরাইল।
সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ মোশে হাহারোনি (৬৩) নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ইসরাইলের সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু হচ্ছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ২০ বছর ধরে তিনি আমাদের দেশকে গ্রাহ্য করেননি, আমাদের নাগরিকদেরও গ্রাহ্য করেননি।’ (সূত্র: আলজাজিরা, এএফপি)
রোববার চতুর্থ দিনে গড়ায় বিক্ষোভ। এদিনও জেরুজালেমে আন্দোলনকারীদের মাইক হাতে চিৎকার করে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। অনেকের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, যেখানে লেখা— ‘বিবি (নেতানিয়াহু), তুমি হেরে গেছ!’
গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরুর বিষয়েও ক্ষিপ্ত ইসরাইলি জনগণ। বিক্ষোভকারী ইরেজ বারম্যান (৪৪) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা দেড় বছর পর আবারও গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধ দেখছি। এখনো গাজার ক্ষমতায় হামাস, এখনো সংগঠনটির হাজারো যোদ্ধা রয়ে গেছে। সুতরাং, এই যুদ্ধে নেতানিয়াহুর সরকার তার লক্ষ্য অর্জনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনেও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সমালোচকরা বলছেন, রোনেন বার-কে বরখাস্তের মাধ্যমে নেতানিয়াহু ইসরাইলের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিত্তি দুর্বল করতে চাইছেন।
এর আগে, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, তিনি রোনেন বার-এর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। ২০২১ সালে তাকে শিন বেতের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বরখাস্তের আদেশ আগামী ১০ এপ্রিল কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই বিক্ষোভ শুরু হয়।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিনি রোনেন বার-কে বরখাস্ত করেছেন। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, সামরিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, ‘অন্তত আরও দুই বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য নেতানিয়াহু যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছেন।’ উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের অক্টোবরেই নেতানিয়াহুর সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।