
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৯ এএম
সিরিয়ায় একদিনে ৭২ আসাদপন্থি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম

আরও পড়ুন
সিরিয়ায় সক্রিয় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা দেশজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদপন্থি ৭২ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে একটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৫৮ জন এইচটিএস-এর সাধারণ নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে তারতুস ও লাতাকিয়া প্রদেশে নিহত হয়েছে।
শনিবার প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাকি হত্যাকাণ্ডগুলো আলেপ্পো, দারা, দেইর আল-জোর, দামেস্ক ও হোমস প্রদেশে ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আসাদ সরকারের পতনের পরই মূলত সিরিয়ায় এ ধরনের সহিংসতার বৃদ্ধি ঘটেছে। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদেশি সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী এইচটিএস মাত্র দুই সপ্তাহের তীব্র আক্রমণের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার পতনের ঘোষণা দেয়।
এরপর এইচটিএস নেতা আহমদ আল শারার নেতৃত্বে সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
এ মাসের শুরুতেই এইচটিএস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দেশটির উত্তর-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আসাদ সরকার পতনের পর থেকে ১০০ দিনে দেশটিতে ৪,৭১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ৩৪৫ জন নারী ও ১৯৪ জন শিশু রয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এর মধ্যে ১,৮০৫ জনকে ফিল্ড এক্সিকিউশন বা ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। যাদের অনেকেই পূর্ববর্তী আসাদ প্রশাসনের সমর্থক ছিলেন।
আলাওয়ি সম্প্রদায়ের ওপর টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থাটির মতে, সিরিয়ায় সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বেশিরভাগই মার্চ মাসে সংঘটিত হয়েছে এবং বেশিরভাগ ভুক্তভোগী ছিলেন আলাওয়ি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নতুন শাসকগোষ্ঠীর গোপন মদদ ও তাদের অধীনস্থ সন্ত্রাসীদের ওপর নিয়ন্ত্রণের অভাব তুলে ধরেছে।
তারা আরও বলছেন, আসাদ সরকারের সব সামরিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা প্রধানদের অপসারণই সিরিয়ায় চলমান সহিংসতার জন্য দায়ী। সূত্র: মেহের নিউজ
ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন
আরও পড়ুন