
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০২ এএম
ইস্তাম্বুলের রাস্তায় ৩ লাখ মানুষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৬ এএম

আরও পড়ুন
তুরস্কের বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নেমেছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। ইস্তাম্বুলে টানা তৃতীয় দিনের মতো প্রতিবাদে তিন লাখ মানুষের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। খবর- আল-জাজিরার।
ইস্তাম্বুল থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক আকসেল জাইমোভিচ জানিয়েছেন, সিটি হলের বাইরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তারা বলছেন- তারা শুধু ইমামোগলুর গ্রেফতারের বিরোধিতা করতেই এখানে আসেননি, বরং ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তার ডিগ্রি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই আন্দোলন শুধুমাত্র কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়, বরং তুরস্কের সমাজে ‘প্রাতিষ্ঠানিক অবিচারের’ বিরুদ্ধে একটি বার্তা পাঠানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
একরেম ইমামোগলু তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল একরেম ইমামোগলুর। এর মধ্যে বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ‘রাস্তার সন্ত্রাস’ দমন করার হুঁশিয়ারি দিলেও আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।
বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (CHP) নেতা ওজগুর ওজেল জানিয়েছেন, শুধু ইস্তাম্বুলেই ৩ লাখেরও বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। রাস্তা ও সেতু বন্ধ থাকায় অনেক মানুষ এক জায়গায় জড়ো হতে পারেননি, তাই শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, তার সরকার রাস্তার বিক্ষোভ বরদাস্ত করবে না। তিনি রিপাবলিকান পিপলস পার্টিকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করে বলেন, ইস্তাম্বুলে একটি দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে অস্থিরতা সৃষ্টির অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, তুরস্ককে অশান্ত করার জন্য কিছু লোকের ষড়যন্ত্র আমরা সফল হতে দেব না।
এদিকে গ্রেফতারের একদিন আগে ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় ইমামোগলুর ডিগ্রি বাতিল করে। এতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা হারান তিনি। কারণ, তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী- প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকা আবশ্যক। ইমামোগলু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা