
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ এএম
গাজা সংকট নিয়ে ইইউর ‘লজ্জাজনক’ অবস্থান, অ্যামনেস্টির নিন্দা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম

আরও পড়ুন
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে গাজার বিষয়ে ইসরাইলের কার্যক্রমকে ন্যায্যতা দেওয়ার ‘লজ্জাজনক প্রচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটি অভিযোগ করে বলেছে, ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) গাজার ওপর চালানো বিমান হামলা ও মানবিক সহায়তা অবরোধের বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নিন্দা জানায়নি।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ের পরিচালক ইভ গেডি বলেন, ‘গাজায় ১৭ মাস ধরে চলমান ইসরাইলি গণহত্যার পরেও ইইউ এখনো ইসরাইলকে দায়ী করতে অস্বীকার করছে। একেকটি পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া বিমান হামলার নিন্দা জানাচ্ছে না এবং মানবিক সহায়তা অবরোধের বিরুদ্ধেও কোনো কঠোর অবস্থান নিচ্ছে না—এটি একেবারেই অভাবনীয়’।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, ইইউ নেতারা ‘নির্বাচনী সহানুভূতি’ দেখাচ্ছেন, বিশেষ করে যখন ভুক্তভোগীরা ফিলিস্তিনি।
ইইউকে ‘অপরাধে সহযোগিতা’ বন্ধ করার আহ্বান
গেডি বলেন, ‘ইইউ নেতাদের বক্তব্য আরেকটি লজ্জাজনক প্রচেষ্টা, যা ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যাকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা। সত্য গোপন না করে ইইউ নেতাদের স্পষ্ট ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যাতে গাজায় গণহত্যায় তাদের সম্ভাব্য সহযোগিতা বন্ধ হয়, পাশাপাশি ইসরাইলের বর্ণবাদী দখলদারিত্বের অবসান ঘটে’।
তিনি আরও বলেন, ‘ইইউ দীর্ঘদিন ধরে গাজার গণহত্যার বিষয়ে বিভক্ত অবস্থানে রয়েছে। কিছু সদস্য রাষ্ট্র ইসরাইলকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। যা গণহত্যা প্রতিরোধ এবং জেনেভা কনভেনশন মেনে চলার বাধ্যবাধকতার পরিপন্থি। এটি এখনই বন্ধ হওয়া উচিত’।
ইসরাইলের হামলা ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রতিক্রিয়া
এর আগে ইউরোপীয় কাউন্সিল তাদের বিবৃতিতে গাজায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের বিষয়টি স্বীকার করলেও ইসরাইলের নাম উল্লেখ করেনি। তারা শুধু যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং যুদ্ধবিরতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া তারা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে অবিলম্বে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং মানবিক সহায়তা সরবরাহের ওপর কোনো বাধা না দেওয়ার তাগিদ দিয়েছে।
গাজায় নতুন করে হামলা ও আইনি সিদ্ধান্ত
এদিকে ইসরাইল গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করেছে। এর আগে গত ২ মার্চ থেকেই পুরো গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ অবরোধ করে রেখেছে। যার ফলে সেখানে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় ‘গণহত্যার সম্ভাব্য ঝুঁকি’ থাকার বিষয়ে রায় দিয়েছিল।
ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ
আরও পড়ুন