স্পর্শকাতর জায়গায় চাপ দেওয়া ধর্ষণচেষ্টা নয়: ভারতীয় হাইকোর্ট

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

ভিকটিমের স্তন চেপে ধরা এবং তার পায়জামার ফিতা ছিঁড়ে ফেলা ধর্ষণ বা ধর্ষণের প্রচেষ্টা নয়, বরং এটি গুরুতর যৌন নির্যাতন হিসেবে গণ্য হবে বলে এক আদেশে মন্তব্য করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচার রাম মনোহর মিশ্রা এই রায় দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, উত্তর প্রদেশের কাশগঞ্জে ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া এক ঘটনায় পবন ও আকাশ নামের দুই ব্যক্তি ১১ বছর বয়সী এক শিশুর স্তন চেপে ধরার পাশাপাশি তার পায়জামার ফিতা ছিঁড়ে ফেলে এবং তাকে একটি কালভার্টের নিচে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। পথচারীদের হস্তক্ষেপে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা প্রথমে শিশুটিকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং তারপরই এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।
কাশগঞ্জের বিচারিক আদালতের নির্দেশে পবন ও আকাশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় (ধর্ষণ) এবং শিশু নির্যাতন বিষয়ক পকসো আইনের ১৮ ধারায় (ধর্ষণচেষ্টা) বিচার শুরুর কথা ছিল।
তবে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে, তাদের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৫৪-বি (অঙ্গভঙ্গি বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে পোশাক খোলার উদ্দেশ্যে হামলা) এবং পকসো আইনের ৯ / ১০ ধারার (গুরুতর যৌন নির্যাতন) আওতায় বিচার করা হবে।
বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্র মন্তব্য করেন, অভিযুক্ত পবন ও আকাশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং মামলার পরিস্থিতি ধর্ষণের প্রচেষ্টার জন্য যথেষ্ট নয়। ধর্ষণের অভিযোগ আনতে হলে প্রসিকিউশনকে প্রমাণ করতে হবে যে, এটি শুধু পরিকল্পনার স্তরে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তা বাস্তবায়নের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। প্রস্তুতি ও অপরাধ সংঘটনের চেষ্টার মধ্যে পার্থক্য মূলত দৃঢ় সংকল্পের মাত্রার ওপর নির্ভর করে।
অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন, অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে বিচারিক আদালত তদন্তকালীন সংগৃহীত প্রমাণকে বিশদভাবে পর্যালোচনা করতে পারে না। সেই পর্যায়ে কেবল একটি প্রাথমিক মামলা গঠন করা হয়, যাতে অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যায়।