Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

মাহমুদ খলিলের মামলা নিউজার্সিতে স্থানান্তর করেছেন বিচারক

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৫ এএম

মাহমুদ খলিলের মামলা নিউজার্সিতে স্থানান্তর করেছেন বিচারক

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের নির্বাসন রোধের পূর্ববর্তী আদেশ বহাল রেখে তার মামলা নিউজার্সিতে স্থানান্তর করেছেন মার্কিন ফেডারেল বিচারক।

বুধবার (১৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক জেসি ফুরম্যান এই রায় দিয়েছেন।

রায়ে বলা হয়েছে, মামলাটি নিউজার্সিতে স্থানান্তরিত হওয়া উচিত, লুইজিয়ানা বা নিউইয়র্কে নয়, কারণ তাকে আটকের পর এখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল এবং তার আইনজীবী ৯ মার্চ তার মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন।

ফুরম্যান রায়ে লিখেছেন, এ মামলার কেন্দ্রে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, তা হলো— সরকার কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে একজনের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দার নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে এবং তাকে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করতে পারে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক দিক থেকে, এটি একটি ব্যতিক্রমী মামলা এবং এর জন্য সতর্ক বিচারিক পর্যালোচনার প্রয়োজন।

মাহমুদ খলিলকে গত ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) কর্মকর্তারা আটক করেন, যখন তিনি এবং তার গর্ভবতী স্ত্রী নূর আবদাল্লাহ ডিনার করে বাসায় ফেরেন। তাকে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া আটক করা হয় এবং কর্তৃপক্ষ তার গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাননি, যা তার পরিবার শুক্রবার প্রকাশিত ভিডিওতে তুলে ধরেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন খলিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তিনি গত বছর ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং হামাসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ সঠিক প্রদান দেখাতে পারেনি।

এক বিবৃতিতে আটক খলিল বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক বন্দি। লুইজিয়ানার শীতের সকালে ঘুম ভাঙার পর এখানে আটক মানুষদের দেখে আমার দিন কাটে, যারা আইনের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত।’

মাহমুদ খলিল বর্তমানে লুইজিয়ানার জেনা শহরে একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে রয়েছেন। সেখানেই তিনি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তাকে এভাবে আটকে রাখার ঘটনাকে তিনি ইসরাইলের কারাগারে বিনা বিচারের বছরের পর বছর ফিলিস্তিনিদের আটকে রেখে নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ভূমি থেকে দূরে থাকলেও ভাগ্য সেই সীমানা অতিক্রম করে ফেলেছে। নিজেদের অধিকারের জন্য তাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হয়।’

বিনা অপরাধে ও বিচারে তাদের (ফিলিস্তিনিদের) আটক থাকতে হয়, তিনিও (খলিল) এর বাইরে নন বলে মন্তব্য করেন বিবৃতিতে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিবাসনকেন্দ্রে কেউই নিজের অধিকার পেতে পারেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে ফিরেই অঙ্গীকার করেছিলেন, গত বছর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থি আন্দোলনে জড়িত কিছু বিদেশি শিক্ষার্থীকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেবেন। এ আন্দোলনকে তিনি ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেন।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাম্পের তথাকথিত ইহুদিবিদ্বেষী বিক্ষোভ বন্ধের অভিযানের প্রথম শিকার ৩০ বছর বয়সি এই ফিলিস্তিনি যুবক। মাহমুদ খলিল বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের শিক্ষার্থী। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের গ্রিনকার্ড রয়েছে তার। কিন্তু তার গ্রিনকার্ড বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। আপাতত তাকে নিবার্সিত করার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন একজন ফেডারেল জজ।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম