
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৪। এতে আরও ৫৬২ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। গাজা উপত্যকায় হামলায় নিহতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। হতাহতের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজার মেডিকেল সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় এটিই গাজায় ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা। হামাস বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিলের জন্য ইসরাইল অবরুদ্ধ ও অরক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ‘প্রতারণামূলক’ হামলা চালিয়েছে।
টানা ১৫ মাস হামাস ইসরাইল সংঘাত চলার পর গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শুরু হয়। এর মেয়াদ ছিল ৪২ দিন। মোট তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপ শুরুর ১৬ দিনের মাথায়ই দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ইসরাইল তা করেনি। দেশটি প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর দিকে জোর দিতে থাকে। তবে হামাস তা মানতে নারাজ হয়।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি এ হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস হামলায় ইসরাইলে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি হয়। এরপর গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলায় অন্তত ৪৮ হাজার ৫৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১২ হাজার ৪১ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি জানিয়ে বলেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।