
প্রিন্ট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
ফুরফুরা থেকে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মমতা

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:১২ পিএম

আরও পড়ুন
রমজান মাসে ফুরফুরা দরবার শরিফে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এই যাওয়া নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সাবেক সংসদ সদস্য অধীররঞ্জন চৌধুরী।
তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছেন। সোমবার বিকালে ফুরফুরা শরিফের ইফতার অনুষ্ঠান থেকে সেসবের জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকেই সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তিনি।
মমতা বলেন, আমি যখন দুর্গাপুজা করি, কালীপুজা করি তখন তো কেউ এসব প্রশ্ন তোলেন না। তাহলে ইফতারে যোগ দিলে এমন প্রশ্ন উঠছে কেন? সম্প্রীতি, শান্তি, ঐক্যই আমাদের বার্তা।’
তারপরই হুগলিতে একটি পলিটেকনিক কলেজ এবং ১০০ বেডের একটি হাসপাতাল আবু বকরের নামে হবে বলে ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বক্তব্যে মমতা বলেন, আমি খ্রিষ্টানদের অনুষ্ঠানেও যাই, ইদ মোবারকেও যাই, নিজে ইফতার করি, পাঞ্জাবিদের গুরুদ্বারে যাই, গুজরাটিদের ডান্ডিয়া নাচেও যাই। আমি মনে করি, বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি। সকলের হয়ে আজ দোয়া করলাম। এটা মনে রাখবেন।’
এছাড়া সম্প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, দীর্ঘ প্রায় ন’বছর পরে ফুরফুরায় গেলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণেই এক জায়গায় হয়েছিলেন ফুরফুরার পিরজাদারা। তবে কৌতূহল ছিল পিরজাদা তথা ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এবং তার দাদা পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি মমতার অনুষ্ঠানে থাকেন কি না তা নিয়ে। কিন্তু দু’জনের কেউই শেষ পর্যন্ত ছিলেন না।