সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান তুরস্কের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
-67d7001d41479.jpg)
আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আগে তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শর্তহীনভাবে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
রোববার এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে আঙ্কারা এবং দেশটিতে ‘শান্তিপূর্ণ পরিবর্তন’ আনতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার জরুরি।
সোমবার ব্রাসেলসে সিরিয়া বিষয়ক নবম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তুরস্কের অবস্থান
তুরস্ক গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া নতুন শাসকদের প্রধান মিত্র। আঙ্কারার মতে, সিরিয়ার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা দরকার।
ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা ও পশ্চিমা সতর্কতা
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার জ্বালানি, পরিবহন ও ব্যাংকিং খাতে আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দেয়। তবে পশ্চিমা শক্তিগুলো এবং ইউরোপ সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ও তার সরকার, বিশেষ করে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নীতি নিয়ে সতর্ক রয়েছে।
এইচটিএস গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আসাদ সরকারকে উৎখাত করে। যদিও শারা প্রশাসনের নেতৃত্বে সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক ভবিষ্যতের আশা করা হচ্ছে, তথাপি দেশটিতে সম্প্রতি সংখ্যালঘু আলাওয়িত সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস হামলা সংশয়ের সৃষ্টি করেছে।
ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সতর্ক করেছেন, যদি সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে, তবে শিথিল করা নিষেধাজ্ঞাগুলো আবারও আরোপ করা হতে পারে।
তুরস্কের দাবি
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সিরিয়ার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেশটির সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। অর্থনৈতিক সুযোগ ও কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।’
‘নিষেধাজ্ঞাগুলো শর্তহীনভাবে এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রত্যাহার করতে হবে,’ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আঙ্কারা আরও বলেছে, সিরিয়ার পুনর্গঠন শুরু করা দরকার যাতে দেশটিতে শরণার্থী প্রত্যাবর্তন সহজ হয়। বর্তমানে তুরস্কে প্রায় ৩০ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী অবস্থান করছে।
সিরিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা জোরদার করতে অনুষ্ঠিতব্য ব্রাসেলস সম্মেলনে তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী নুহ ইয়েলমাজ অংশ নেবেন।