নেতানিয়াহুকে থামাতে ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবারের হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:১১ পিএম

ইসরাইলি বন্দিদের পরিবার ঘোষণা করেছে, তারা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হামাসের সঙ্গে হওয়া চুক্তি বানচাল করতে দেবে না বা গাজার সুড়ঙ্গগুলোকে তাদের সন্তানদের জন্য কবর বানানোর সুযোগ দেবে না।
শনিবার এক বিবৃতিতে তারা তেলআবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে এ ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভের ডাক দেয়। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যেখানে নেতানিয়াহু নতুন যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিচ্ছেন, চুক্তি লঙ্ঘন করছেন এবং বন্দিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন, সেখানে আমরা আজ স্পষ্ট বার্তা দেব: আমরা গাজার সুড়ঙ্গকে আমাদের সন্তানদের কবর হতে দেব না’।
একই সঙ্গে পরিবারগুলো সব বন্দির একসঙ্গে মুক্তির দাবি জানিয়েছে। ইসরাইলি হিসাব অনুযায়ী, গাজায় এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্তত ২২ জন জীবিত।
মার্কিন হুঁশিয়ারি ও নতুন প্রস্তাব
এর আগে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হামাসকে অবশ্যই বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, নতুবা কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে’।
তারও আগে বুধবার কাতারের দোহায় উইটকফ ও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পরিচালক এরিক ট্রাগার একটি ‘সেতুবন্ধন প্রস্তাব’ উপস্থাপন করেন। যা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কাঠামো নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি করবে।
হামাস ও ইসরাইলের অবস্থান
এদিকে বৃহস্পতিবার হামাস ঘোষণা দেয় যে, তারা কাতারের মধ্যস্থতায় পুনরায় আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে। পরে শুক্রবার মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় হামাস এবং আলোচনার জন্য প্রস্তুতির কথা জানায়।
তবে নেতানিয়াহু এখনো এ প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেননি, উলটো তিনি হামাসকে দোষারোপ করে বলেছেন, ‘তারা এখনো মানসিক ও কূটনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করছে’।
যুদ্ধবিরতির স্থগিত অবস্থা
এদিকে গত ১৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ৪২ দিনের মেয়াদ মার্চের শুরুতেই শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ইসরাইল পরবর্তী ধাপে অগ্রসর না হয়ে কেবল বন্দি মুক্তির বিনিময়ে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চাইছে।
তবে হামাস পুরো চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে এবং পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনার দ্রুত শুরুর দাবি জানাচ্ছে।
মূলত এই যুদ্ধবিরতির ফলে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার মতো হামলা সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে। যেখানে ১৫ মাসব্যাপী অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৪৮,৫০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।