Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

জাফর এক্সপ্রেস অভিযান সমাপ্ত, ৩৩ বিচ্ছিন্নতাবাদী, ২১ জিম্মি নিহত: সেনা মুখপাত্র

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৪ এএম

জাফর এক্সপ্রেস অভিযান সমাপ্ত, ৩৩ বিচ্ছিন্নতাবাদী, ২১ জিম্মি নিহত: সেনা মুখপাত্র

মঙ্গলবার পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও যাত্রীদের জিম্মি করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে দুদিনের অভিযানে সব সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। তবে বেঁচে ফিরেননি নিরীহ ২১ যাত্রী।

ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এর পরিচালক জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বুধবার নিশ্চিত করে বলেছেন, বেলুচিস্তানের বোলান জেলার জাফর এক্সপ্রেসে সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলাকালে কোন যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী একটি প্রাইভেট নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলের, হামলায় জড়িত সব ৩৩ জন সন্ত্রাসী নরকে পাঠানো হয়েছে.... সাফাই অপারেশনে চারজন ফ্রন্টিয়ার কর্পস সদস্য শহিদ হয়েছেন।  তবে তিনি আরও জানান, অভিযান শুরুর আগেই সন্ত্রাসীরা ২১ যাত্রীকে শহিদ করে।

ডিজি আইএসপিআর বলেন, কেউ পাকিস্তানের নিরপরাধ মানুষদের তাদের নৃশংসতা, ভুল মতাদর্শের কারণে, রাস্তায়, ট্রেনে, বাসে বা বাজারে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে না।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে কেউ এটা করবে, আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, তাকে অনুসরণ করা হবে এবং বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  আমি আরও বলতে চাই, এই জাফর এক্সপ্রেসের ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিয়ম পরিবর্তন করবে।

ডিজি আইএসপিআর দাবি করেন, হামলাকারীরা আফগানিস্তানের তাদের অপরাধী চক্রের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল, যা অপারেশনের আঞ্চলিক ও সীমান্ত-অতিক্রমী প্রকৃতির প্রমাণ। 

সেনা মুখপাত্র জানান, সন্ত্রাসীরা মহিলাদের এবং শিশুসহ যাত্রীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, তাদের গ্রুপ আকারে সাজিয়ে রাখে, যার মধ্যে আত্মঘাতী সদস্যও ছিল।  নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত বিপদ মোকাবিলা করে, এবং স্নাইপাররা আত্মঘাতী সদস্যদের নির্মূল করে।

জাফর এক্সপ্রেস, যা ৪০০-এরও বেশি যাত্রী নিয়ে কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিল, মঙ্গলবার বোলান পাসের ঢাদার এলাকায় হামলার শিকার হয়।  সুরক্ষা সূত্র জানায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ট্রেনটি একটি দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় থামাতে বাধ্য করে, এবং নিষিদ্ধ বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) নামে একটি সন্ত্রাসী দল হামলার দায়িত্ব গ্রহণ করে।

সন্ত্রাসীরা রেলপথে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্রেনটি থামায়, এরপর তারা ট্রেনের উপর হামলা চালায়।  রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেখানে ট্রেনটি ছিল সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করছিল না, যার ফলে যোগাযোগে অসুবিধা হয়।

জাফর এক্সপ্রেসের হামলার পর, পেশোয়ার এবং কোয়েটা থেকে ট্রেন চলাচল সিবি স্টেশনে থামানো হয়েছে।  একই সঙ্গে, কোয়েটা থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।

এছাড়াও, হামলার পর ভারতীয় এবং বিরোধী জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো অস্বাভাবিকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ভুল তথ্য ও ভুয়া প্রচারণা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।

প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাফর এক্সপ্রেস হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন, এবং নিরপরাধ যাত্রীদের উপর আক্রমণ অমানবিক এবং নিন্দনীয় বলে  অভিহিত করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ভারতীয় মিডিয়া এবং সন্ত্রাসী সংযুক্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো পাকিস্তানবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। সু রক্ষা সূত্র জানিয়েছে, জনগণকে বিভ্রান্তি ও ভুয়া খবর থেকে দূরে থাকার জন্য বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উৎস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম