যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পিছু হটার পরিণতি কী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনীয় খনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করাকেই যথেষ্ট বলে মনে করছে না, বরং এর বাইরেও অন্য কিছু পাওয়ার চেষ্টা করছে।
সোমবার প্রকাশিত এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের একটি দল এই সপ্তাহে সৌদি আরবে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সহযোগীদের সঙ্গে এক ব্যক্তিগত বৈঠকে বলেছেন, ওয়াশিংটন এবং কিয়েভের মধ্যে স্বাক্ষরিত খনির চুক্তি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে সহায়তা পুনরায় শুরু করার জন্য যথেষ্ট হবে না।
এই আমেরিকান কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন যে, ট্রাম্প শান্তি আলোচনার বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মনোভাবও পরিবর্তন করতে চাইছেন এবং রাশিয়াকে ভূমি দেওয়ার মতো ছাড় দিতে তাকে বাধ্য করতে চান।
অন্যদিকে, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ইউক্রেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নিতে এবং তাকে তার পদ থেকে সরে দাঁড়াতেও বলবেন।
এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজেস বলেছেন, ‘সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও ইতিবাচক আন্দোলন শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আশা করছি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত থেমে যাবে’।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের অতিরিক্ত দাবির মাধ্যমে কিয়েভকে ওয়াশিংটনের সাহায্যের বিনিময়ে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ৫০০ বিলিয়ন ডলার দাবি করেছে। কিন্তু জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যুদ্ধের সময় ইউক্রেনে মার্কিন সাহায্যের সঙ্গে এই পরিমাণের কোনো সম্পর্ক নেই।
জেলেনস্কি আরও বলেছেন, প্রস্তাবিত মার্কিন চুক্তিতে শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন যে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দাবি করেছিল, তার কোনোটিই অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
তবে সর্বশেষ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, জেলেনস্কি পিছু হটছেন।