আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পেজেশকিয়ানের
‘যা খুশি তাই করো’– ট্রাম্পকে সাফ জানিয়ে দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০ এএম
-67d0f996d484a.jpg)
আলোচিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ও চাপের মধ্যে তেহরান কোনো আলোচনায় যাবে না, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তোমরা যা খুশি তাই করো।’ মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
পেজেশকিয়ানকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমাদের জন্য এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় যে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নির্দেশ দেয় এবং হুমকি দেয়। আমি এমন পরিস্থিতিতে আলোচনাতেও যাব না। যা খুশি তাই করো।’
এর আগে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি শনিবার বলেন, হুমকি দিয়ে তেহরানকে আলোচনায় বসানো যাবে না। তার এই মন্তব্য আসে একদিন পর, যখন ট্রাম্প জানান তিনি ইরানকে নতুন পারমাণবিক চুক্তির আলোচনায় বসানোর জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
যদিও ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখতে চান, তবে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার প্রথম মেয়াদের মতো ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল চালু করেছেন, যার লক্ষ্য তেহরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা।
ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানকে দুটি উপায়ে সামলানো যেতে পারে: সামরিকভাবে, অথবা একটি চুক্তির মাধ্যমে যাতে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন ঠেকানো যায়’।
তেহরান অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না। তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) সতর্ক করেছে যে ইরান দ্রুততার সঙ্গে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি, যা অস্ত্র-মানের ইউরেনিয়াম হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০১৯ সাল থেকে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির গতি বাড়িয়েছে। এর এক বছর আগে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৫ সালের বহুপাক্ষিক পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন এবং তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন, যা দেশটির অর্থনীতিকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।