
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৮ এএম
ব্যবহৃত রান্নার তেল দিয়ে বিমান চালানোর চেষ্টা, চলছে গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০১:১৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সাধারণত ভোজ্য তেলে কিছু ভাজার পর আমরা সেই তেল ফেলে দিই৷ কিন্তু ফেলে দেওয়া এই তেল বিমান চালাতে ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিয়ে স্পেনে গবেষণা চলছে৷ এতে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷
স্পেনের বিমানসংস্থা আইবেরিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের ১০ শতাংশ ফ্লাইট এই তেল দিয়ে চালাতে চায়৷
এয়ারলাইন সাস্টেইনেবিলিটি পরিচালক টেরেসা পারেখো বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, টেকসই জ্বালানি শিল্পখাত গড়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা আছে, বিশেষ করে স্পেনে৷ বিমান চলাচল খাত পরিবেশবান্ধব করা আমাদের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, আমাদের দেশের দিকে দেখুন, আমরা ইউরোপের প্রান্তে অবস্থিত৷ আর আমাদের অনেক দ্বীপ আছে যেগুলোকে মূল্য দেশের সঙ্গে যুক্ত রাখা প্রয়োজন৷
ভাজাপোড়ার তেল থেকে টেকসই কেরোসিন তৈরিতে এখন তিন গুণ বেশি খরচ হচ্ছে৷ তবে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে৷
ডয়চে ভেলে বলছে, স্পেনের আন্দালুসিয়ায় আরেকটি নতুন রিফাইনারি তৈরি হচ্ছে৷ সেখানে আরও বর্জ্যকে জ্বালানিতে পরিণত করা হবে৷ ইউরোপে এই ধরনের এটিই সবচেয়ে বড় রিফাইনারি হবে৷
এক প্রতিবেদনে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, এই খাত এগিয়ে যাওয়ার পেছনে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও ভূমিকা আছে৷ তারা মনে করে বিমানে অবশ্যই দুই শতাংশ টেকসই জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে৷ ২০৩০ সালে সংখ্যাটি ছয় শতাংশ ও ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ করতে চায় ইইউ৷
মাদ্রিদের এই গবেষণাগারে রেপসল কোম্পানি বিমান খাতে অপরিশোধিত তেল ছাড়া আর কী ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে৷
জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টার ভাজাপোড়া তেলের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে কাজ করেছে৷ একটি গবেষণা বিমান ব্যবহার করে তারা বড়, বাণিজ্যিক বিমানের ধোঁয়া পর্যবেক্ষণ করেছে৷ প্রথমটিতে সাধারণ জ্বালানি ব্যবহৃত হয়েছে৷ পরেরটিতে পুরোপুরি নতুন বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে, যা রান্নার তেল থেকে তৈরি হয়েছে৷
জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টারের ক্রিস্টিয়ানে ফোইগ্ট বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি টেকসই জ্বালানি ব্যবহারের কারণে কম ধোঁয়া নির্গত হয়েছে৷ এর ফলে বরফের স্ফটিক কমে৷ এবং এটা উষ্ণতা কমায়৷