ইউএসএআইডির ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করছে ট্রাম্প প্রশাসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ০৯:২০ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি-এর ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
সোমবার এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। ফ্রান্স প্রেসের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। যার মাধ্যমে সমস্ত মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
এর উদ্দেশ্য ছিল- বিদেশে ব্যয় পর্যালোচনা করা এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সংগতিহীন কর্মসূচিগুলো বাতিল করা।
এ নিয়ে রুবিও সোমবার বলেন, ‘৬ সপ্তাহের পর্যালোচনার পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএসএআইডি’র ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করছি’।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ সংক্রান্ত যে ৫,২০০টি চুক্তি এখন বাতিল হলো, সেগুলোতে কয়েক দশক ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। যেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমেরিকার মূল জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি ছিল বা ক্ষতি করেছে’।
ইউএসএআইডি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও জরুরি সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১২০টি দেশে কাজ করে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরই মূলত এই সংস্থাটি পরিচালনা করে থাকে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তারা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল, সংস্থাটির ৯২ শতাংশ তহবিল কমানো হবে এবং ৫,৮০০টি অনুদান বাতিল করা হবে।
এ ব্যাপারে মার্কো রুবিও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার দেশের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (DOGE) প্রতি। এই বিভাগটিই এখন ইলন মাস্কের নেতৃত্বে সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য কাজ করছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, বিদেশী সহায়তা অপচয়মূলক এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করে না।
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই সহায়তা বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা ও জনস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক এবং এটি বাতিল করা হলে বিপদগ্রস্ত জনগণের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে।
তা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে পিছু হটেনি ট্রাম্প প্রশাসন।