
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫০ এএম
ইউরোপকে প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়াতে বলছে ন্যাটো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
-67cc5cdd836b0.jpg)
আরও পড়ুন
সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে ইউরোপকে প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়াতে বলছে ন্যাটো। শনিবার জার্মানির সাপ্তাহিক পত্রিকা (রোববার) ওয়েল্ট অ্যাম সোন্ট্যাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি দেন ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে। রয়টার্স।
একই সঙ্গে মহাদেশ সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর বিষয়েও জোর দেন রুটে। বলেন, ‘ইউরোপে উচ্চতর প্রতিরক্ষা বাজেট এবং সামরিক সরঞ্জাম শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রয়োজন। নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের আরও ব্যয় করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, কিন্তু আটলান্টিকের উভয় পাশেই আমাদের প্রতিরক্ষা উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি করতে হবে... অনেক দীর্ঘ সময় ধরে, আমরা অনেক কম উৎপাদন করেছি।’
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জরুরি সম্মেলনে ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর বিরাট প্রতিরক্ষা বাজেটের সম্মতির পরই নতুন করে এ মন্তব্য করলেন রুটে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন ওই সম্মেলনে বলেন, ‘জলধারণের মুহূর্ত’ এসেছে। নিজস্ব প্রতিরক্ষায় আরও অর্থ ব্যয় করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপ।’
এদিকে এক সপ্তাহও হয়নি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই তার প্রভাব পড়ছে ইউক্রেন বাহিনীতে। কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের কয়েক হাজার সেনাকে ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী। নির্ভরযোগ্য সূত্র ও স্যাটেলাইট চিত্র থেকে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। গার্ডিয়ান।
স্যাটেলাইট চিত্র থেকে দেখা গেছে, গত তিন দিনে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়েছে। রাশিয়ার বাহিনী সম্মিলিত পালটা আক্রমণের মাধ্যমে ক্রমাগত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করে চলেছে। রুশ বাহিনীর আক্রমণে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং কিয়েভের বাহিনীর মূল অংশটিকে প্রধান সরবরাহ লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কুরস্কে আক্রমণ করেছিল। সে সময় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, রাশিয়ার অঞ্চল দখল করে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য সেটিকে লিভারেজ হিসাবে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু এই ঘিরে ফেলার বিষয়টি কিয়েভের জন্য এক বড় ধাক্কা। ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ বন্ধ করার কয়েক দিনের মাথায় ইউক্রেন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়ল।
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়েও আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন
ইউক্রেনে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত রাশিয়া। তবে এ জন্য চ‚ড়ান্ত শান্তি চুক্তির দিকে বাস্তব অগ্রগতি থাকতে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন, মস্কোর অভ্যন্তরীণ নীতি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে শনিবার মার্কিন গণমাধ্যম ব্ল–মবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির আহ্বানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে এটি প্রথম ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।