১৩ বছর পর দাদির কবর জিয়ারত, যা বললেন মালালা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১০:০২ পিএম

পাকিস্তানের নোবেলজয়ী ও নারী শিক্ষাকর্মী মালালা ইউসুফজাই দীর্ঘ ১৩ বছর পর নিজের শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত শাংলা জেলায় ফিরে গেছেন। সেখানে গিয়ে তিনি তার প্রয়াত দাদির কবর জিয়ারত করেন এবং পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন।
শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে এক আবেগঘন পোস্টে মালালা লিখেছেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন প্রতি ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে শাংলা যেতাম। দীর্ঘ বাস ভ্রমণের পর নেমেই ছুটে যেতাম দাদির কাছে’।
শৈশবের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি আরও লেখেন, ‘বসন্তকালে আমরা কাজিনদের সঙ্গে মিলে গাছ থেকে কাঁচা বরই পেড়ে খেতাম, নদীর ধারে সময় কাটাতাম। এটি আমার শহরের ব্যস্ত জীবনের তুলনায় একেবারে আলাদা অনুভূতি দিত’।
১৩ বছর পর গ্রামে ফেরা
২০১২ সালে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) মালালার স্কুলবাসে হামলা চালায় এবং তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই ঘটনার পর তিনি দীর্ঘদিন পাকিস্তানের বাইরে ছিলেন।
মালালা সর্বশেষ ২০১৮ সালে পাকিস্তানে ফিরে এলেও নিরাপত্তার কারণে শাংলায় যেতে পারেননি।
পরিবারের সঙ্গে সংযোগ ও দাদির প্রতি শ্রদ্ধা
মালালা বলেন, ‘আমার বাবা-মা শাংলায় বড় হয়েছেন এবং আজও আমাদের বেশিরভাগ আত্মীয় সেখানে বাস করেন। তবে এখন অনেক কিছুই বদলে গেছে। প্রিয়জনদের অনেকেই আজ আর নেই। বিশেষ করে আমার দাদি, যিনি ২০২০ সালে মারা গেছেন। প্রতিদিনই তাকে মনে পড়ে। আজ আমি সেই পাহাড়ি পথে হাঁটলাম, যে পথে হাঁটা তিনি খুব পছন্দ করতেন। তার কবর জিয়ারত করে মনে হলো যেন আবার তার কাছাকাছি চলে এসেছি’।
শিক্ষার প্রসারে মালালার উদ্যোগ
এ সময় তিনি শাংলায় থাকাকালীন তার প্রতিষ্ঠিত মালালা ফান্ড সমর্থিত স্থানীয় শিক্ষা প্রকল্পও পরিদর্শন করেন। সফরকালে মালালার সঙ্গে ছিলেন তার বাবা, স্বামী এবং ভাই।
অবশ্য নিরাপত্তার কারণে হেলিকপ্টারযোগে এসে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য শাংলায় অবস্থান করেন মালালা। তার এ সফরটি উচ্চ নিরাপত্তার আওতায় রাখা হয় এবং তার আগমনের বিষয়টি স্থানীয়দেরও জানানো হয়নি।
মালালার এই সফর শুধু তার শৈশবের স্মৃতিচারণ নয়, বরং নারী শিক্ষার পক্ষে তার অটুট অঙ্গীকার এবং নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার প্রতিফলনও বটে। সূত্র: জিও নিউজ