
প্রিন্ট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ এএম
আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য চায় সিরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৫২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
স্বৈরাচার বাশার আল আসাদের পতনের পর অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র থেকে সিরিয়াকে দ্রুত মুক্ত করতে সংকল্প ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান শিবানি। এ কাজে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
বুধবার দ্য হেইগে অর্গানাইজশান ফর দ্য প্রোহিবিশান অফ কেমিকাল ওয়েপানস (ওপিসিডব্লিউ)’র রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আবেদন জানান তিনি। সিরিয়ার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিনিই প্রথম নিরস্ত্রীকরণ সংস্থায় বক্তব্য রেখেছেন।
ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে সারিন গ্যাসে শত শত লোক প্রাণ হারানোর পর বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার অধীনে এই সংস্থায় যোগ দেয় এবং ১,৩০০ মেট্রিক টন রাসাযনিক অস্ত্র এবং তা প্রস্তুতের উপাদানগুলো নষ্ট করে দেওয়া হয়।
তবে জাতিসংঘ- ওপিসিডব্লিউএর যৌথ তদন্তে, ওপিসিডব্লিউএর অনুসন্ধানী ও চিহ্নিতকরণ দল এবং জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত দল– এই তিনটি তদন্তে বেরিয়ে আসে আসাদের অধীনে গৃহযুদ্ধের সময়ে সিরীয় সরকারি বাহিনী তাদের আক্রমণে সারিন গ্যাস এবং ক্লোরিন ব্যারেল বোমা ব্যবহার করে। যাতে হাজার হাজার লোক হতাহত হয়।
এই সংস্থার সদস্য হওয়ার কারণে দামেস্কে এ ব্যাপারে অনুসন্ধান হওয়ার কথা কিন্তু এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওপিসিডব্লিউ’কে রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচির সত্যিকারের ব্যাপকতা অনুসন্ধান করতে বাধা দেওয়া হয়।
এবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিবানি ওই প্রতিনিধিকে বলেন, ‘পূর্বতন শাসক গোষ্ঠী আমাদের ওপর যে কয়েক দশক ধরে সমস্যা চাপিয়ে দিয়েছিল তা সমাধান করতে সিরিয়া প্রস্তুত। এই নিয়ম লংঘনের আইনি দায় আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি, আমরা নিজেরা সৃষ্টি করি নাই। তা সত্ত্বেও আমাদের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে যা কিছু অবশিষ্ট আছে সেগুলো ধ্বংস করা যাতে এই বেদনাময় অতীতের অবসান হোক এবং নিশ্চিত করা যায় যে, সিরিয়া আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি দেশ হয়ে উঠেছে’।
ওপিসিডব্লিউ-এর প্রধান ফারনান্দো অ্যারিয়াস বলেন, সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিবর্তন দেশটির রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচির পূর্ণ বিস্তৃতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা পাওয়ার একটি নতুন ও ঐতিহাসিক সুযোগের সূচনা করেছে।
হাসান শিবানি বলেন, পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। তবে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা খুব জরুরি। সিরিয়ার প্রয়োজন পড়বে প্রযুক্তিক সহযোগিতা, প্রায়োগিক সহযোগিতা, সক্ষমতা অর্জন, সম্পদ এবং বাস্তব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞতা।
তিনি বলেন, যদিও আসাদ সরকার এটি বহু বছর ধরে আটকে রেখেছিল, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারি, তবে এটাও বুঝি যে, এটা পরিপূর্ণভাবে সম্পাদন করতে হবে। আর তাই আমরা একা সফল হতে পারবো না।
ওপিসিডব্লিউ’র পরিদর্শকরা বলেন, সিরিয়ার ঘোষিত অস্ত্র সম্ভারে বাস্তব পরিস্থিতির পরিচয় পাওয়া যায় না।
তারা এখন এমন প্রায় ১০০ টি স্থানে যেতে চায় যেখানে হয়ত আসাদের কয়েক দশকের পুরোনো রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচী রয়েছে।