তীব্র গ্যাস সংকট
সেহরি ছাড়াই রোজা রেখেছে পাকিস্তানের কয়েক হাজার পরিবার

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৭ এএম

বছরের অন্য সময়ের মতো রমজান মাসেও পাকিস্তানে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
পাকিস্তান টুডের খবরে বলা হয়, গ্যাস সংকটের কারণে রমজানের প্রথম দিনেই পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে হাজার হাজার পরিবার সেহরি ছাড়াই রোজা রাখতে বাধ্য হয়।
গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে সেহরি ও ইফতারের সময় নিরবচ্ছিন্ন সেবার আশ্বাস সত্ত্বেও রমজানের শুরু থেকে দেশটির একাধিক শহরে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরের বাসিন্দারা গ্যাস বিভ্রাটের কথা জানিয়েছেন, যার ফলে সেহরির খাবার প্রস্তুত করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার রাস্তার পাশের খাবারের দোকান এবং হোটেলগুলোতে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া কিছু পরিবারের সেহরি ছাড়াই রোজা শুরু করা ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।এমন পরিস্থিতি নাগরিকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানের গ্যাস সরবরাহকারী দুটি প্রতিষ্ঠান সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেড (এসএনজিপিএল) এবং সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানি (এসএসজিসি) রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারের সময় গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন।
বেশ কিছু এলাকায় মানুষ পুরোপুরি গ্যাস ছাড়াই বিকল্প ব্যবস্থায় তাদের রান্নাবান্নার কাজ করছে।
এর আগে রমজান মাসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা এবং রাত ১০টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল এসএসজিসি।তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেও গ্যাসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়নি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
রমজানের শুরুর দিকেই অপ্রত্যাশিত গ্যাস সংকট দেখা দেওয়ায় পুরো মাসজুড়ে সরবরাহ অসামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানে কয়েক বছর ধরে স্থানীয়ভাবে এলএনজি উৎপাদন কমছে। ফলে ধীরে ধীরে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় আমদানি বাজার হয়ে উঠছে তারা। কিন্তু বৈশ্বিক ঘাটতির মুখে সম্প্রতি এলএনজির দাম এমন পর্যায়ে গেছে, যা পাকিস্তানের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।