‘কাউকে পাকিস্তানি বা মিয়াঁ-মিয়াঁ বলা নিম্ন রুচির পরিচয়’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম

ফাইল ছবি
কাউকে ‘পাকিস্তানি’ বা ‘মিয়াঁ-টিয়াঁ’ বলে ডাকা নিঃসন্দেহে নিম্নরুচির পরিচয় দেয়। তবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৮ ধারায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের মতো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না।
এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ কথা বলেন ভারতের সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা এক সরকারি কর্মীকে ‘পাকিস্তানি’ বলে ডেকেছিলেন অভিযুক্ত। ওই মামলার শুনানি চলছিল সর্বোচ্চ আদালতের দুই বিচারপতির এজলাসে।
জানা গেছে, শামসুদ্দিন নামে এক সরকারি কর্মী তার সহকর্মী হরিনন্দন সিংয়ের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিলেন।
শামসুদ্দিন আরটিআই বিভাগের একজন উর্দু অনুবাদক। তার অভিযোগ, একটি মামলা সংক্রান্ত নথি হরিকে দিয়েছিলেন তিনি। তবে হরি সেই নথি নিতে চাননি। পরবর্তী সময়ে নথি নিলেও তাকে তার ধর্ম নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন। তাকে ‘মিয়াঁ’, ‘পাকিস্তানি’- এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করে অপমান করা হয়। এমনকি চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
যার ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ (একজন সরকারি কর্মচারীকে তার কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় বলপ্রয়োগ), ৫০৪ (শান্তি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তিকে অপমান করা) এবং ২৯৮ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে কথা বলা) ধারা আরোপ করে মামলা করেন শামসুদ্দিন।
অভিযুক্তের বয়স প্রায় ৮০ বছর, তিনি বোকারোর বাসিন্দা। বোকারোর নিম্ন আদালত থেকে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট, কোথাও তিনি স্বস্তি পাননি। অবশেষে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ বা শান্তি ভঙ্গের ধারা আরোপের কোনো কারণ নেই। আর কাউকে ‘মিয়া’ বা ‘পাকিস্তানি’ বলে অপমান করলে, ২৯৮ ধারা প্রয়োগ করা ঠিক নয়। কারণ, এ মন্তব্য আপত্তিকর হতে পারে। তবে কোনোভাবেই অপরাধ নয়। যার জেরে হরির বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করে এদিন তাকে বেকসুর খালাস দেন সুপ্রিমকোর্ট।
সূত্র: টাইমস অব
ইন্ডিয়া